আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আর নেই। আজ (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এবং মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে তাকে সকালেই হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজি করার পর চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হলেও, দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করা মতিয়া চৌধুরী একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালে খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা মতিয়া চৌধুরী ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রামে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন এবং পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন ছাড়াও মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১ নম্বর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।