তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার রাকিবুল ইসলাম হৃদয় তিন দিন পর মারা গেছেন। তিনি নাটোর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিগারেট কিনতে নাটোর শহরের হরিশপুর চেয়ারম্যান রোডে যায় হৃদয়। সেখানে সাবেক সেনা সদস্য ও রোকেয়া ক্লিনিকের মালিক রফিকুল ইসলাম মিঠুর ভগ্নিপতি রেন্টুর সাথে হৃদয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় মিঠু ও তার পরিবারের সদস্যরা হৃদয়কে মারধর করে চলে যায়।
শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে তাকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় ওইদিন তাকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তাহেরপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর সোমবার বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাতে হৃদয়ের লাশ চেয়ারম্যান রোড এলাকায় নিয়ে আসলে অভিযুক্ত মিঠু পালিয়ে যায়। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।