বাবা-মায়ের মত মামা মামি তার নিজের ভাগ্নির সাথে এমন কর্মকাণ্ড করতে পারে এটা মেনে নিতে পারছেনা ভুক্তভোগীর বাবা মা। তারা সংবাদ মাধ্যমে বলেছে, মেয়েকে ভালো পরিবেশ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য মামার কাছে রেখে আসি। তবে তারা মিলে আমার মেয়েকে ব্যবসার পণ্য বানিয়ে ফেলবে এটা কখনো ভাবনি।
মিথিলা (ছদ্মনাম) যখন ক্লাস ফোরে পড়ে তখন তাকে ঢাকায় তার মামার বাড়িতে পাঠানো হয়। পড়াশোনায় পাঠানো হলেও তাকে পতি/ তাব ‘ত্তিতে বাধ্য করা হয়। তার চাচা নিজেও ভাগনির সাথে সুযোগ নিয়েছে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মামার সহায়তায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) এমন খারাপ কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা (মামলা নং ৫৪) করেন। আসামিরা হলেন-মামা হান্নান চাপরাশি, খালা রুমা ও খালার বড় বোন। এরপর রুমাকে আটক করে পুলিশ। তার মামা হান্নান চাপরাশি এখন পলাতক।
বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএইচএমসি) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, তিন বছর ধরে আমি আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তারা মেয়েটিকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি। পরে মেয়েটি আমাকে সব খুলে বলে। তার মামি রুমা এবং রুমার বড় বোন তাকে এমন কাজ করতে বাধ্য করে।
বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান,মামা ও মামি তাদের ভাগ্নিকে দিয়ে ব্যাবসা করত। পরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মানব পাচার আইনে মামলা করেন। মামি রুমাকে আটক করলেও তার মামা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর থেকে মামাকে আটক কারার জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর জবানবন্দী অনুযায়ী তার মামা মামি সত্যিকারের দোষী বলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত হয়েছে। তবে এই মামলার তদন্ত এখনো চলমান বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা