বাংলা ছোট পর্দার খুবই জনপ্রিয় ও আলোচিত এক মুখ সারিকা সাবরিন। ক্যারিয়ারে অসংখ্য ধারাবিক নাটকে অভিনয় করে কোটি কোটি ভক্তের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবনে সম্প্রতি গত প্রায় বছর খানেক আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে বেশ আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী।
জানা যায়, বিবাহোত্তর সংবর্ধনার মাসখানেকের মাথায় তার স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা করেন সারিকা।
গত বছরের নভেম্বরে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবারের আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা করেন সারিকা। তবে তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সারিকা নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সারিকা বলেন, আমার স্বামী রাহি ক্ষমা চেয়েছেন, মামলা প্রত্যাহার করেছি। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে দুই পরিবার। রাহি একসাথে থাকার সুযোগ চাইলেন। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমরা এখন একসঙ্গে বসবাস করছি।
তিনি বলেন, আমি রাহিকে ভালোবাসি। এখন আমি বসুন্ধরায়, রাহির ভাড়া বাসায়। আমাদের একত্রিত করতে আমার শ্বশুরবাড়ি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। তা ছাড়া, আমি একটি সুন্দর পরিবার চাই। কারণ বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া ভালো কিছু নয়। দুজনেরই পরিবার আছে, সমাজ আছে। এতে তারা বিব্রত। তাই আমরা দুজনে মিলে সংসার চালানোর চেষ্টা করছি।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রাহিকে বিয়ে করেন সারিকা। তবে বিয়ের কোনো অনুষ্ঠান করেননি তারা। পরে জমকালো আয়োজনে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন জগতের বহু মানুষ।
বিয়ের এক মাস পর সারিকা তার স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। সারিকা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে দূরে রয়েছেন। বাবা-মায়ের সাথে থাকা। তিনি বাধ্য হয়ে মামলাটি করেন।
কিন্তু কেন স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন এমন প্রশ্নে সারিকা বলেন, মানুষ আগে নিজেরা ভালো থাকতে চায়, তারপর আশেপাশের মানুষকে ভালো রাখতে চায়। তখন আমার উপর প্রচন্ড ঝড় বয়ে গেল। আমি মামলা করার আগে এটি সমাধান করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু এটি কাজ করেনি। পরে বাধ্য হয়ে কাজটি করতে হয়েছে। থাক, ওসব কথা আর বলিস না।
তবে যাই হোক না কেন, মান-অভিমান ভুলে আবারও এক হওয়ায় রীতিমতো খুশি ভক্ত-শুভাকাঙ্খীরাও। তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, এমনটা কামনা করছেন সকলেই।