ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলাটি ভুয়া, অচল এবং অবৈধ
২০২১ সালের ০৯ই সেপ্টেম্বরে শ্রম আইন লংঘনের অভিযোগ তুলে ড. মুহম্মদ ইউনুস এবং আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের একজন শ্রম পরিদর্শক বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলার অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ না দেয়া, বেশ কয়েক জন শ্রমিকের চাকুরী স্থায়ী না করা এবং গণছুটি না দেয়া।
তারপরে ১৪/৯/২০২১ তারিখে বাদী মারা যায়।
মামলাটি করার সময় মহাপরিদর্শকের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। ফলে মামলাটি চলতে পারে কি না প্রশ্ন থেকে যায়। মামলাটি দাখিল অবৈধ হয়েছে।
বাদী মারা যাওয়ার ১০ মাস পরে ১ নম্বর সাক্ষীকে আদালতের বিনা অনুমতিতে বাদী বানানো হয়। এ সংক্রান্তে কোনো এফিডেবিট আর্জি জমা দেয়া হয়নি। ফলে মামলাটির কোনো বাদী ছিল না। কাজেই এই মামলা মেনটেইনেবল নয়।
যে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে, তা একটি দেওয়ানী বিষয়, কিন্তু সরকারী পক্ষ এটিকে ক্রিমিনাল মামলা হিসাবে পরিচালনা করছে। এনিয়ে হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগে গেলেও কোর্ট প্রতিকার দেননি। ফলে দৃশ্যমান হচ্ছে যে, এটি উদ্দেশ্যমূলক ট্রায়াল হচ্ছে।
এরপরে একই দিনে ১৮টি মামলা ফাইল করা হয়। ফলে এটা বিশ্বাস করার মত যথেষ্ট কারণ আছে যে, নোবেল লরিয়েটকে ফাঁসানোর জন্য সরকার, অধঃস্তন অফিস, উচ্চ এবং নিম্ন আদালত এবজোট হয়ে অস্বাভাবিক দ্রুততার সাথে কাজ করছে।