বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁস মামলার আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ভিন্ন এক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আলী হায়দার এ আদেশ দেন। অবৈধ অনুপ্রবেশ, মারধর, চুরি ও চুরিতে সহায়তা করার অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় এ মামলাটি করেন এসএম মহিবুলাহ মহিউদ্দিন। এ মামলায় ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ছাড়াও আরও দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন মোহাম্মদ বশির ও ইসমাইল হোসেন।
বৃহস্পতিবার উপ-পরিদর্শক লোকমান আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিপক্ষে আব্দুর রহমান হাওলাদার, মোঃ আকতারুজ্জামানসহ অন্য আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। হাকিম আলী হায়দার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তিনি সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মেসির ৪৮ ভাগ শেয়ারের মালিক হিসাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী কিছু ব্যক্তি বাদীর প্রতিষ্ঠানটি দখল করার চেষ্টা করে আসছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই ফখরুলের নির্দেশে ব্যারিস্টার ফখরুলসহ অন্য আসামি ফার্মেসির নগদ ক্যাশ থেকে ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও ২ কোটি টাকার ওষুধ নিয়ে যান। মামলার বাদী আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় তিনি মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্তমান চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসাকেও আসামি করা হয়েছে। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আনোয়ারুল কবির বাবুল, আবদুর রশিদ মোল্লা, মাহাবুব আলম ও হরে কৃষ্ণ।