তানিয়া রবকে কম বেশি সবাই চিনে থাকেন। তিনি বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তানিয়া রব জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তার মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন গুলি করে প্রাণানশকে সরকার উৎসাহ দিচ্ছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব বলেছেন, সরকার রাষ্ট্রের নাগরিক প্রাণনাশের জন্য কোনো দুঃখ প্রকাশ না করে বিরোধী দলের মিটিংয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে মানুষ প্রাণনাশকে উৎসাহিত করছে। পুলিশ আত্মরক্ষায় নয়, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের নির্দেশে নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালাচ্ছে।
কেন গু/লি বা বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছিল, কী কারণে প্রাণহানি হয়েছিল, প্রাণনাশ অনিবার্য ছিল কিনা তা তদন্ত না করে সরকার একরকম উচ্ছ্বসিত পুলিশি গু/লি চালানোর অবৈধতাকে উত্সাহিত করছে। সরকারের আনুগত্য জনগণের প্রতি, পুলিশের প্রতি নয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যখন বিরোধী দলের ওপর নির্মম নির্যাতন ও গু/লি চালায়, তখন সরকারের মন্ত্রীরা আনন্দে গলে গিয়ে বিরোধী দলকে দোষারোপ করতে থাকেন, কিন্তু কোনো সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজন বোধ করেননি। আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নয়। কারণ তারা বিশ্বাস করে তাদের আর কখনো রাজপথে আন্দোলন করতে হবে না, তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে। তবে ইতিহাসের গতিপথ শীঘ্রই নির্ধারিত হবে। প্রতিটি গু/ম প্রাণনাশের জবাব দিতে হবে।
আজ নোয়াখালী জেলা জাসদ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন তানিয়া রব।
নোয়াখালীর তারকা মেলায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ উল্লাহ। বক্তা ছিলেন আমির হোসেন বিএসসি, আবুল কালাম মাস্টার, আব্দুল মোতালেব, সোহরাব হোসেন, নুর রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান), শহীদ উল ইসলাম খোকন, হাবিবুর রহমান, লোকমান হোসেন বাবলু, ইকবাল হোসেন ও তৌফিকুজ্জামান পীরাচা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, কোনো দেশের সরকার কখনই চায় না যে তার দেশের মানুষকে গুলি করে প্রাণনাশ করা হোক। বাংলাদেশের প্ধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলার মানুষকে তিনি এতটাই ভালোবাসেন যে তাদের কষ্টে প্রধানমন্ত্রী কষ্ট পান এবং তাদের দুঃখে তিনি ব্যথিত হন। প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।