বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ আজ চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সাথে তামাশা করা হচ্ছে।
সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করা হচ্ছে। আর গতকাল বাংলাদেশের তিনটি ছাগল তাদের সীমান্তের ভেতরে চলে গেলে বিএসএফ ওই তিনটি ছাগলকে ধরে পতাকা বৈঠক করে ফেরত দেয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘দেশ বাঁচাও, জনগণ বাঁচাও’ শিরোনামে সারাদেশে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএসএফের কাছে ছাগলের দাম আছে, কিন্তু মানুষের দাম নেই। তিনটি ছাগল ফিরিয়ে দেওয়া শতাব্দীর সেরা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের মানুষের সাথে আজ তামাশা করা হচ্ছে। ওই দিকে টেকনাফ সীমান্তে গুলাগুলি চলছে। সীমান্তে বাংলাদেশের কৃষকরা ভয়ে কাজ করতে পারছে না। কৃষকরা অনাহারে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে আর আমাদের সরকার নীরব। তারা হাত গুঁটিয়ে বসে আছে। একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করার সাহস তাদের নেই। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ হাত গুঁটিয়ে বসে থাকবে না।
রিজভী আরও বলেন, সারাদেশে সামাজিক নৈরাজ্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা এক যুবককে কুপিয়ে ১০ টুকরো করেছেন, সে নিজেই স্বীকার করেছে। এখন শুধু বিএনপির ওপর আক্রমণ করছে না তারা, লুটের টাকা ভাগাভাগি করতে নিজেরা নিজেদের হত্যা করছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করে তারা মনে করেছে সারা বাংলাদেশের জমিদার হয়ে গেছে। এ জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থামবে না। কারণ এ ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো যে আন্দোলন করছে, যে লড়াই করছে, সেটি নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, সেটি হলো গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার লড়াই, জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। ’
আজ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে গুলশান দুই নম্বর থেকে পিং সিটি হয়ে এক নম্বর পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।