টিসিবির পন্য বাংলাদেশের স্বল্প আয় এবং দরিদ্র জনগনের জন্য একটি বড় ধরনের আশির্বাদ যেটা নি:সন্দেহে বলা যায়। এই টিসিবির পন্যগুলোর এত দাম কম হওয়ার কারন অনেকেই জানে। আর সেটা হলো সরকারের ভর্তুকি দেওয়া প্রত্যেকটি পন্যের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা ভর্তুখি দেওয়া। তবে এই টিসিবির পন্যের লস বিষয়টি কেউ কখনও ভেবেছেন কি সে বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিন্ন স্বাদের পোস্ট করেছেন আবদুন-নূর-তুষার। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
টিসিবির কর্মকর্তা বলেছেন লস হবে সরবরাহকারীর। টিসিবির লস নাই। আরে গাধা। লস তো জনগণের।
১. টিসিবি পয়সা না দিলেও আমদানীর এলসির ডলার তো পরিশোধ হবেই। লস কার? জনগণের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডলার বাঁচাতে বলেন আর তোরা এসব করিস।
২. পেঁয়াজ এনেছে সঠিকমূল্যে বিক্রি করে বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য। এই পেঁয়াজ পঁচলো মানে তিনশ টন পেঁয়াজ মানুষ সস্তায় পেল না। বাজার একই রকম বাড়তি থাকলো। লস কার? জনগণের।
তুই বেতন পাস জনগণের টাকায়। আর তোর ভুলে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। দাম কমে না। ডলার নষ্ট হয়।
তোকে দেয়া বেতনটাও লস। উজবুক। বেতনটা হালাল কর। লস হয় নাই বলার আগে তিনবার চিন্তা কর।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পন্যগুলোর দর-দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা হুজুগে মাতা ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তের প্রভাব- সেটা অনেকের নিকট সুষ্পষ্ট। আমরা দেখতে পারি, কোনো কিছুর দাম বাড়ানোর আভাস দিলেই বৃদ্ধি পায় পন্যের দাম। যেটা কে করে – ব্যবসায়ীরা। আর দাম কমানোর ঘোষনা দেশে তেমন কখনও না দিলেও মাঝে মধ্যে সে একটু আধটু দেয় সেখানে ব্যবসায়ীরা বলে থাকেন এখনও কার্যকর হয়নি হতে সময় লাগবে তাই এখনও আগের দামেই রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো- এই ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীদের শুধু বুঝিয়ে থাকেন, এটাতে এত কমালে আমাদের থাকবে কি? কিছুতো চাঁদাও দেওয়া লাগে। তখন কি আর বলার থাকে মন্ত্রীর, আচ্ছা ঠিক আছে একটু তো কমাতে হবে। এটাই বাংলাদেশের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রন।