দেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করছে ভাইরাস ভীতি। এমনকি এই ভাইরাসকে ঘিরে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ রয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে চালু হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে সকল শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিল শিক্ষা অধিদফতর।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৪ নভেম্বর। বুধবার (১৩ অক্টোবর) মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এসব পরীক্ষা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
যেসব নির্দেশনা মেনে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা:
১. বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়ে পরীক্ষা নিতে হবে
২. পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বরের
৩. প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
যে সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে
যেসব অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়) দেওয়া হয়েছে সেসব অধ্যায় এবং ১২/০১/২০২১ হতে শ্রেণিকক্ষে যেসব অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে তা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস।
বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস হবে যেভাবে
(ক) বাংলা (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ (লিখিত ৩৫ + এমসিকিউ ১৫);
(খ) ইংরেজি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ (প্রথম পত্র ৩০ + দ্বিতীয় পত্র ২০); (গ) সাধারণ গণিত বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ (লিখিত ৩৫ + এমসিকিউ১৫);
(ঘ) প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে।
(ঙ) বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে।
(চ) অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের (৫০+৪০+১০) ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নপূর্বক বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
১৮ মাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা খাতে নানা ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরেনর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে সময় পার করছে। তবে শিক্ষা খাতের চলমান সকল সংকট মোকাবলিয়া নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। ইতিমধ্যে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।
Check Also
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …