বাংলাদেশে বেশ কিছু বছর ধরে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে নানা ধরনের প্রশ্ন। বিশেষ করে মাদ্রাসা গুলোতে ছাত্র ছাত্রীদের নির্যাতন নিয়ে উঠছে নানা ধরনের সব প্রশ্ন। এবার এ নিয়ে একই মন্তব্য বেশ ভাইরাল হয়েছে সবখানে।
আবাসিক মাদ্রাসায় মেয়েদের ভর্তি না করার পরামর্শ দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন কওমি মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে স্পষ্টভাষী বক্তা রফিক উল্লাহ আফসারী। তিনি স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিয়েছেন, এসব মাদ্রাসায় ছাত্রীদের সঙ্গে শালীন আচরণ করা হয় না। বহুজনের কাছে চাবি থাকে। শঙ্কা করেছেন, ‘মেয়ের চরিত্র নষ্ট হতে পারে।’
আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় নি’র্যা’তন’স’হ বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেওয়ার পর থেকে জাতীয়তাবাদীদের হামলার মুখে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যাচ্ছেন রফিক আফসারী। ফলে মেয়েদের সম্পর্কে তিনি আসলে কী ভয় পান তা তার কাছ থেকে জানা যায় না।
তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের আমদুয়ার গ্রামে। সে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গাড্ডা কামিল মাদ্রাসায় চাকরি করে। পাশাপাশি ওয়াজ। ওই এলাকা নোয়াখালীর খুব কাছে। তার ভাষা নোয়াখালীর মতো।
ওয়াজের বিভিন্ন ভিডিওতে রফিকের যোগাযোগ নম্বর দেওয়া আছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে খাদেম নামে এক ব্যক্তি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে সেখানে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এই নম্বরে কল দুবার কেটে যায়। এরপর মেয়েদের মাদ্রাসা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে তাকে মেসেজ করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
রফিকের অভিযোগ গুরুতর। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদ্রাসিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক মো. জুবায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, আমাদের কথা বলা নিষেধ।
জুবায়েরের পরামর্শে বোর্ডের মহাসচিব মাহফুজুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। এই মাহফুজুল হক হেফাজেত ইসলামের বহিষ্কৃত নেতা মামুনুল হকের বড় ভাই।
প্রসঙ্গত, এ দিকে ওই বক্তব্য দেয়ার পর থেকেই সারা দেশে রফিক উল্লাহ আফসারীকে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। তার কাছে এই কথার যুক্তি এবং সত্যতা জানার জন্য একাধিক বার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি তাকে।