Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মাত্র ৮ বছর বয়সী বালক কোরআনের শিক্ষক, জানালেন দুটি ইচ্ছার কথা

মাত্র ৮ বছর বয়সী বালক কোরআনের শিক্ষক, জানালেন দুটি ইচ্ছার কথা

জীবনের প্রথম দিকে যে সময়ে সবাই খেলনা আর খেলাধুলায় ব্যস্ত থেকে সময় কাটায়, সেই বয়সে নাইজেরিয়ার একজন শি’শু কোরআন চর্চায় তার সময় কাটাচ্ছে। তিনি সকলের সামনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। ৮ বছর বয়সী এই শি’শুর মেধা ও পাণ্ডিত্য দেখে সবাই হতবাক। বিবিসির সাম্প্রতিক সময়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের জারিয়া নামক একটি শহরের এক শিশু মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। যে কিনা আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ কোরআন অনুবাদক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।

তার এই ৮ বছর বয়সে তিনি পবিত্র কোরআনের অনুবাদের চর্চা ও প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি রমজান মাস আসলেই মসজিদে আগত মুসল্লিদের জন্য কোরআন তেলাওয়াত করে থাকেন। নাইজেরিয়ায়, ৪০ বছর বয়সের পরে, কুরআন শিক্ষা করা যেতে পারে। তবে তার ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা গেছে।

মুহাম্মদ বলেন, ‘আমার স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে আমার বাবা স্কুলের একজন স্কলারের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করেন। তিনি আমাকে পড়াশোনার দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এরপর পাশপাশি আমি নিজ ঘরে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে থাকি।’

মুহাম্মদ কোরআন পাঠদান ছাড়াও তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসল্লিদের জন্য পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মুসলিম সহযোগীরা আমরা কখন কোথায় সমবেত হব সে বিষয়ে নানাভাবে সহযোগিতা করেন।’ অনুসারীদের কাছে তার অবস্থান তৈরির পেছনে বাবাই তার প্রেরণার মূল উৎস বলে জানিয়েছেন শিশু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘শিশুর পড়াশোনার ব্যাপারে তার বাবা আত্মনিবেদিত ও উদার হলে এবং শি’শু নিজেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে সে অবশ্যই সফল হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বই থেকে পড়াশোনা শুরু করি। এছাড়াও হাদিস বিষয়ে আমি শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা করি। ইসলামী ফিকাহ, ধর্মতত্ত্ব ও ইতিহাস বিষয়ে পড়ি।’

মুহাম্মদ বলেছিলেন যে, তিনি খেলাধুলা বা খেলনার প্রতি কোনো রকম আগ্রহী নন। জানান যে তিনি প্রায়ই মাঝরাত পর্যন্ত গবেষণা করতেন। এ সময় তার বাবা তার শারীরিক দিকটা বিবেচনা করে তার ঘরের আলো নিভিয়ে তাকে ঘুমাতে পাঠাতেন। কিন্তু এতটা পরিশ্রম করা সত্বেও মুহাম্মদ কখনও ক্লান্ত বোধ করেননি এবং এখনও করেন না।

মুহাম্মদ বলেন, কোরানের প্রচার ছাড়াও অন্য অনেক লক্ষ রয়েছে তার জীবনে। তিনি বলেন, আমার ভবিষ্যত জীবনে একজন চিকিৎসক ও আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছে আছে। এই গুলো আমার জীবনের লক্ষ্যে থাকলেও আমি কোরান চর্চা ছাড়ব না। আমি বরং এইগুলোর মধ্যে একটি সমন্বয় করতে চাই।
খবর বিবিসির।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *