বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই লটারির প্রচলন রয়েছে। অনকেই এই লটারির মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্যে অনেকে আবার এই লটারির লোভে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে এমনও অনেক নজির রয়েছে। তবে সম্প্রতি এবার লটারির দৌলতে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন এমন এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। মাত্র ৬০ টাকায় ভ্যানচালক ফজলে মিয়া কোটিপতি বনে গেছেন।
দিন-রাত পরিশ্রম করেও সংসারের আর্থিক অনটন মেটাতে পারছিলেন না ভ্যানচালক ফজলে মিয়া। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি হয়ে গেলেন কোটিপতি। এমনই অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটেছে ভারতের কোচবিহারের সীমান্ত লাগোয়া ভোরাম গ্রামে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনহাটা থানার গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম গ্রামের বাসিন্দা ফজলে মিয়া। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এলাকার দোকান থেকে মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনেন। লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর রাতে তিনি ওই দোকানে লটারি মেলাতে যান। টিকিট নম্বর মেলাতে গিয়ে দেখেন, প্রথম পুরস্কারের টিকিট নম্বর এবং তার টিকিট নম্বর একই। এভাবে মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি।
কোটিপতি হয়েছেন বুঝতে পেরেই ফজলে মিয়া দ্রুত ওই দোকান থেকে সরাসরি বাড়িতে ফিরে যান। প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি তিনি। যদিও খবরটি গোপন থাকেনি। খবর পেয়েই এলাকাবাসী অভিনন্দন জানাতে তার ভাঙা বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এটি দেখে আনন্দের থেকে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফজলে মিয়া। নিরাপত্তার অভাবে তিনি রাতেই গীতালদহ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে কর্মকর্তাদের পুরো বিষয়টি জানান। তারপর সেখানে বিশেষ ভরসা না পেয়ে নিরাপত্তার জন্য সরাসরি দিনহাটা থানায় ছুটে যান। দিনহাটা থানার পু/লি/শ অবশ্য নিরাশ করেননি ওই ভ্যানচালককে। নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তাকে। এরপরই কোটি টাকা হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে প্রথম পুরস্কার জেতা লটারি টিকিটটি থানায় জমা রাখেন ফজলে মিয়া।
প্রায় সময় ভারতে দিনমুজর থেকে কোটিপতি বনে গেছেন এমন অনেকের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি ভারতের কোচবিহারের সীমান্ত লাগোয়া ভোরাম গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক ফজলে মিয়া ৬০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনে প্রথম পুরস্কারের বিজয়ী হয়েছেন। এই এক লটারিতে তিনি রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।