গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। সেখানে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে এক মাসেরও কম সময় ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া কবির বিন আনোয়ার অবসর গ্রহণ করলেন। তবে তিনি মাত্র এক মাস এই পদে থাকতে পারলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেনকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে কবির বিন আনোয়ারের অবসরের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কবির বিন আনোয়ার সরকারি চাকরি আইনের ৪৩(১)(এ) ধারা অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।। তিনি নিয়ম অনুযায়ী ১৮ মাসের মূল বেতন এবং অবসর গ্রহণ এবং অবসর পরবর্তী ছুটির সুবিধার সমতুল্য লাম্পগ্রান্ট সহ এক বছরের অবসরকালীন ছুটি (পিআরএল) পাবেন।
আজ (মঙ্গলবার) ছিল মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে কবির বিন আনোয়ারের শেষ দিন। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ৪ জানুয়ারি ৫৯ বছর বয়সে আজ অবসরে যাচ্ছেন।
বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার শেষ দিনে অফিসে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমার সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে, এটা রুটিনমাফিক ব্যাপার। চুক্তিবদ্ধ হওয়া একটি সুযোগের বিষয়। এখন যা হয়েছে তা স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা বুঝেশুনে নিয়েছেন। আমি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। তবে পরে হয়ত অন্য কোনো ভালো জায়গায়ও আমাকে দেখতে পারেন।’
কবির বিন আনোয়ার, যিনি ১৯৮৮ সালে সহকারী কমিশনার হিসাবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন, ২০১৮ সালে সিনিয়র সচিব হিসাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপসচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কাজ করেছেন।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এই ধরনের অবসরে পাঠানোর বিষয়য়টিতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যুক্ত ছিল বলে মনে করেন অনেকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতায় থাকা আ.লীগ কৌশল গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিএনপি পন্থীরা।