বয়স মাত্র ১০ বছর, আর এই সামান্যতম বয়সেই সম্মান সূচক ডক্টরেট পাওয়ার মাধ্যমে তাক লাগালেন হিরণ চক্রবর্তী। এই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অশোকনগর নামক জায়গায়। বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির কারণে এই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন অনেকটা গৃহবন্দি আর তার এই ১০ বছর বয়সের মধ্যে সে চার শতাধিক পুরস্কার লাভ করে। ছেলেটি কোনো সাধারন কাজের মাধ্যমে ডক্টরেট পায়নি এমনটিই জানিয়েছে ঐ এলাকার বাসিন্দারা। অশোকনগরের এই শিক্ষার্থীকে ইতিমধ্যে অনেক সংগঠন থেকে সংবর্ধনাও দিয়েছে।
লকডাউনে ঘরে বসেও হতাশায় না ডুবে যে ভালো কিছু করা যায় তার নজির অশোকনগরের এই শিক্ষার্থী। করোনা মহামারিতে শিশুদের মানসিক উন্নয়ন ঘটাতে নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে অনলাইন প্রতিযোগিতা।
বিভিন্ন স্তরে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি সাংষ্কৃতিক সংস্থা গান, নাচ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন প্রতিভা খুজেঁ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শতাধিক সেরার শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়েছে হিরণ।
১৫টি রাজ্য থেকে দুই শতাধিক প্রথম পুরস্কার পেয়েছে সে। এছাড়া অন্যান্য পুরস্কার মিলিয়ে তার ঝুলিতে চার শতাধিক পুরস্কার রয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ড খেতাব পায় সে।
সম্প্রতি সরকার অনুমোদিত হরিয়ানার একটি সংস্থা তাকে সম্মান সূচক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছে। এই বয়সেই হিরণ ১১টি ডান্স ফর্ম দারুনভাবে আয়ত্ত করেছে। ক্রিয়েটিভ, রিজিওনাল,ফোক, মর্ডান ,বলিউড হিপহপ, সালসা ,ভরতনাট্যমসহ বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষায় ডান্স ফর্ম ভালোভাবে রপ্ত করেছে সে। আর তাতেই মিলেছে একের পর এক শিরোপা।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগে মানুষ আপনজনসহ অনেক কিছু হারিয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মাঝে অনেক প্রতিভার সৃষ্টি হয়েছে যার একটি বড় উদাহরন হলো হীরা। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় ইন্দো-বাংলা আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেখানে অসংখ্য মেধাবীরা অংশ নিয়েছিল। সেখানে সে তার অসাধারন নৃত্য নৈপুন্যের মাধ্যমে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে এবং প্রথম পুরস্কার পেয়ে বিজয়ী হয়। হিরনের এই সাফল্যে তার সহপাঠিসহ পরিবারের লোকজন অনেক আনন্দিত।