মেট্রোরেল বাংলাদেশের এক সময়ের লালিত স্বপ্ন এখন হয়েছে পূরণ। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে মেট্রোরেলের যুগে।জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় রাজধানীতে মেট্রোরেলের টিকিট বিক্রি থেকে এ পর্যন্ত আয় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। আর পরিবহন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী।
মঙ্গলবার এলিফ্যান্ট রোডে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএন সিদ্দিক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধন হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর। এর একদিন পর থেকে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল চালুর পর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মেট্রোরেলে মোট ৩ লাখ ৩৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
পাতাল রেল নির্মাণের উদ্বোধন প্রসঙ্গে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। এ সময় তিনি জনসাধারণের সামনে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর সুধী জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পিতলগঞ্জে মেট্রোরেল লাইন-১ ডিপো নির্মাণ করা হবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এ কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
পুরো প্রকল্পটি ১২ টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্যাকেজে সিপি-১ এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। অনেক উঁচু-নিচু জায়গায় ডিপো নির্মাণ করা হবে। সেগুলো পূরণের কাজ শুরু হবে। তারপর সেখানে ডিপো তৈরি করা হবে।
প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ ও আকাশপথসহ মেট্রোরেল লাইন-১ এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১.২৪১ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭ কিমি। অন্যদিকে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত রানওয়ে নির্মাণ করা হবে, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। সাবওয়েতে ১২ টি এবং ফ্লাইওয়েতে ৭ টি স্টেশন থাকবে। উভয় রুটে মোট ১৯ টি স্টেশন থাকবে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে পুরোপুরি উদ্বোধন হওয়ার আগেই মেট্রোরেলের এমন সাফল্য বেশ সারা ফেলেছে সবখানে। ধারণা করা হচ্ছে পুরোপুরি ছেড়ে দেয়ার পরে মেট্রোরেল আরো বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবে।