এক রাকাত নামাজেই পবিত্র কোরআন শরীফ খতম করেছেন সিরিয়ার বংশোদ্ভূত ২০ বছর বয়সী এক তরুন। তার এই কোরাআন খতমে তার সাত ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ওই তরুনের নাম আবদুর রহমান আল নাবহান। তিনি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে তার একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, তিনি নামাজ পড়ার একটি রাকাতের মাধ্যমেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন।
আবদুর রহমান বর্তমানে তুরস্কের কোনিয়া শহরে বাস করেন এবং স্থানীয় সেলজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। মূলত তিনি সিরিয়ার ঐতিহাসিক হালব শহরের অধিবাসী। রাতের বেলা নামাজে পুরো কোরআন খতম করা তাঁর দীর্ঘ স্বপ্ন ছিল। কেননা ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান বিন আফফান (রা.) তাহাজ্জুদ নামাজের এক রাকাতে পুরো কোরআন শেষ করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে।
আবদুর রহমান অবশ্য এর আগেও বহুবার এক রাকাতে কোরআন খতম করার চেষ্টা করেছেন, তবে তা করতে সক্ষম হননি। জানা যায়, রাত ১১টায় তিনি নামাজে দাঁড়ান। এরপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর সকাল ৬টায় তিনি কোরআন খতম করে নামাজ শেষ করেন। তিনি এমন সময় নির্বাচন করেন, যে সময়ে ক্লান্তি ও পরিশ্রম কম হবে এবং পুরো কোরআন শেষ করা সম্ভব হবে।
তাই শীতের রাতের সময়কে বেছে নেন। তিনি জানান, এ ছাড়া নামাজের স্থান হিসেবে মসজিদকে বেছে নেন তিনি। কেননা ঘরে সময় নষ্টের আশ’ঙ্কা থাকে। নামাজ শেষ করে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সবার জন্য দোয়া করেন তিনি।
তাই শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ার কারনে এই সময়টিকেই তিনি বেছে নিন। তিনি বলেন, নামাজের জায়গা হিসেবেও তিনি তার কাছাকাছি একটি মসজিদকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ বাড়িতে নামাজ পড়তে গেলে সময় নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। নামাজ শেষ করার পর তিনি তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও তার সকল বন্ধুদের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফে ৩০টি পারা এবং ২৪০ রুকু আছে। আর এই ধর্মগ্রন্থে আয়াতের সংখ্যা ৬২৩৬।
খবর আল শারাক ও আল ইমারাত আল ইয়াওমের।