চাকুরিজীবি নারীরা অন্ত:সত্বাকালীন একটি প্রকাশিত ছুটির গেজেট বাংলাদেশে কার্যকরী হিসেবে রয়েছে। প্রত্যেক সুবিধাভোগী নারীরা ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং চাকুরীকলীন সময়ে এই ছুটি সর্বোচ্চ দুইবার নিতে পারবেন গেজেটের নিয়ম অনুসারে। পুর্বে এই ছুটি চলাকালীন সময়ে কোন বেতন প্রদান করা হত না তবে বর্তমান সরকার এই নিয়মের আমুল পরিবর্তন এনেছেন এমনকি মাতৃত্বকালীন ছুটি কোন জমাকৃত ছুটি হইতে কর্তন করা হবে না বর্তমান গেজেট অনুসারে। তবে সম্প্রতি জিন্নাতি নামের এক এনজিও নারী কর্মীর সাথে এত ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটার কথা সামাজিক গনমাধ্যমে আলোচলার সৃষ্টি করেছে।
মাতৃত্বকালীন ছুটি চাওয়ার জন্য জিন্নাতি( Jinnati ) নামে একজন এনজিও কর্মীকে চাকরি ছাড়তে হয়েছিল। জিন্নাহ দেওয়ানগঞ্জ( Dewanganj ) উপজেলার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। তার বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাংধরা( Dandhara ) ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর গ্রামে। ডাংধরা( Dandhara ) ইউনিয়ন তার কর্মস্থল। যেহেতু তার স্বামী বেকার ছিল, তাদের একমাত্র আশা ছিল জান্নাতে চাকরি। সে এখন সাড়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
গর্ভবতী হওয়ার কারণে মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি স্থানীয় এনজিওর ব্যবস্থাপককে জানানো হয়। ম্যানেজার চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে জানান। জিন্নাতি( Jinnati ) জনপ্রিয় এক গনমাধ্যমকে বলেন, ডাংঘরা ইউনিয়নে অবিবাহিত কিশোর-কিশোরী, বিবাহিত নারী-পুরুষ, বাল্যবিবাহ, পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টিসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তার কাজের বয়স ৯ মাস। সে এখন সাড়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয় ম্যানেজার আব্দুল বারীর( Abdul Bari ) কাছে মাতৃত্বকালীন ছুটি চান। তিনি ছুটি না দিয়ে নিজের থেকে ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তাকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। ফেব্রুয়ারি( February ) মাসের বেতনও পাননি তিনি। রোববার( Sunday ) ইএসডিওর( ESDO) ব্যবস্থাপক আবদুর বারীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, খণ্ডকালীন পরীক্ষামূলক প্রকল্পে কাজ করার সময় গর্ভবতী হলে বা দুই বছরের কম বয়সী সন্তান হলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। জিন্নাহ একজন ভালো কর্মী ছিলেন।
মানবাধিকার কর্মী দুপ্রকের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম( Jahangir Selim ) বলেন, বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া তার আইনগত অধিকার। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। নারী ঐক্যজোটের নেত্রী ফাতেমা নার্গিস( Fatema Nargis ) বলেন, “আমাদের সরকারের( government ) নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।” অনেক এনজিও নির্দেশনা মানছে না। নিয়োগের সময় তারা কথা বলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের( Bangladesh ) নারীদের প্রেক্ষাপটকে ঘিরে সরকারের অবস্থান প্রশংসনীয়। নারীদের সুবিধা বঞ্চিতের হার শুন্য করার প্রচেষ্টায় সরকার দৃঢ় অঙ্গিকারবদ্ধ হলেও মানছে অনেক এনজিও। এমনই একটি ঘটনার দার উম্মোচন করলো সম্প্রতি মাতৃত্বকালীন ছুটিকে কেন্দ্র করে বঞ্চিত হওয়া এক অন্ত:সত্বা এনজিও নারী কর্মী জিন্নাতি।