গত ২৪ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু বৃষ্টিতে বিপত্তি বাঁধে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল। সেই সময় জিম্বাবুয়ে বুঝতে পেরেছিল যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। আর এটা জেনেই তারা ভেজা মাঠে খেলবে না, এমন ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, যার কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি।
সেদিন ৭ ওভারে ৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩ ওভারে ৫১ রান করে জয়ের পথে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে মাত্র ১৩ রান দরকার ছিল। চতুর্থ ওভার শুরুর আগে আবার বৃষ্টি।
কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমে গেল। ম্যাচের কর্মকর্তারা আবার খেলা শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট এই অজুহাতে খেলতে রাজি হয়নি যে খেলোয়াড়রা ভেজা মাঠে ইনজুরিতে পড়তে পারে। যার কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর ক্ষো’ভ প্রকাশ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ। ১৮৫ রান তাড়া করতে নেমে বৃষ্টির আগে টাইগাররা ৭ ওভারে ৬৬ রান করে।
ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে, তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। ১৭ রানে এগিয়ে ছিলেন সাকিব। বৃষ্টির কারণে মাঠ ভিজে যায়। ভেজা মাঠে না খেললেই জিতত বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হারলে ভারতের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান অষ্টম আসরের সেমিফাইনালে খেলা কঠিন হয়ে যেত। যে কারণে ভেজা মাঠে খেলতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ দল।
বৃষ্টির কারণে ৫২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আম্পায়াররা DLS পদ্ধতি ব্যবহার করে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের জন্য ১৫১ রানের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করলে সাকিব আল হাসানকে ড্রেসিংরুমের সামনে আম্পায়ারদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। আম্পায়ারদের সঙ্গে কথোপকথনে কিছু একটা নিয়ে অখুশি মনে হচ্ছিল সাকিবকে। পিঠে হাত দিয়ে সাকিবকে শান্ত করার চেষ্টা করেন রোহিত। সাকিব ডাগআউটে ফেরার সময় তাকে ঘিরে ফেলেন সতীর্থ ও কোচিং স্টাফরা। সাকিব দুই হাতে মাথা চেপে ধরে কিছু একটা বলছিলেন।
টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ম্যাচ শেষে সাকিব আম্পায়ারদের বোঝাতে চেয়েছিলেন মাঠ এখনো ভেজা। এই মাঠে খেলা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
বৃষ্টির পর খেলার সময় ভেজা মাঠে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস। এ সময় দুই-দু’বার বেশ জোরেশোরে পিছলে পড়ে যান লিটন দাস। একবার তিনি রান নিতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান। পরবর্তী সময়ে তিনি হয়ে যান রান আউট। লিটন দাস বৃষ্টির আগে ম্যাচটিকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি মাত্র ২৬ বলে ৫৯ রান করে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন খেলায়।