বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী একজন ক্রিকেটার। তিনি সকল ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে সকলের আগে অনুশীলন সেশনে উপস্থিত হওয়া ক্রিকেটার এবং তিনি অনুশীলন একাডেমি মাঠ ছেড়ে যান সবার শেষে। খেলার প্রতি তার নিবেদন অনুকরণীয় এবং এটি তাকে দেশের সেরাদের একজন করে তুলেছে। সেই মুশফিক পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন। যেটার জন্য তিনি হতাশার কথাও জানিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোপুরি বাংলাদেশের হয়নি। যে কারণে বোদ্ধাদের মতে ৪র্থ দিনে দুদলই সমানে-সমান। গতকাল পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪৪ রানের লিড নেওয়ার স্বস্তি ভেস্তে গেছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বাংলাদেশ চার উইকেটে ৩৯ রানে দিন শেষ করে।, আর ৪র্থ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ শিবিরে বড় ধাক্কা দিলেন হাসান আলি।
প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে তিনি ফিরে গেলেন এক বল পরেই। হাসান আলির বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। বলে চোখ রেখে শট না খেলে ছেড়ে দেন মুশফিকর। তার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সুইং করে ভেঙে দেয় অফ স্টাম্প।
অতো কাছের বল কেন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুশফিক! সে প্রশ্ন রয়েই গেল। মুশফিকের সিদ্ধান্তটা যে আদৌ ভালো কিছু ছিল না, তা দেখা গেছে পরে রিপ্লেতেই। এ কেমন বোকামো মুশফিকের! ৩৩ বলে দুই চারে ১৬ রান করেন মুশফিক। ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে ইয়াসির আলি চৌধুরির সঙ্গী প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস।
এটা বেশ স্পষ্ট যে তিনি এই ধরনের বোকামি করে নিজের আত্মবিশ্বাসটাই যেন হারিয়ে ফেলেন। এই শটটি খেলতে ব্যর্থ হয়ে তখনই তাকে নিজের উপর রাগ করতে দেখা যায়। মুশফিক কেন এই বলটি ছেড়ে দিলেন সেটাও প্রশ্ন ক্রিকেট ভক্তদের। তবে কী তিনি বলের সুইং ওয়েট বুঝতে পেরেছিলেন না। তবে যাই হোক এটা থেকে বড় ধরনের শিক্ষা নিয়েছেন এই ক্রিকেট তারকা সেটা বভিষতে কাজে লাগাবেন তিনি এটাই তার ভক্তদের সান্তনা।