মাঝে মাঝেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে বিমান দুর্ঘটনার খবর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিমান দুর্ঘটনার পরিমান আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লেন দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হলো ইঞ্জিনে আগুন লাগা কিংবা কোন যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে কাজ না করা। এবার গতকাল অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর ৫৫১ মডেলের একটি ব্যক্তিগত বিমান দক্ষিণ স্পেন থেকে উড়াল দেয়ার পর সেটা লাটভিয়ার উপকূলে বাল্টিক সাগরে ভেঙে পড়ে। সাগরে বিমানের ধ্বং”সাবশেষ ও তেল পাওয়া গেছে।
জনপ্রিয় একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, সেসনা বিমানটি অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় রেজিস্ট্রেশনকৃত। বিমানটির জার্মানিতে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু তা বাল্টিকে চলে গিয়েছিল। বিমানটিতে আরোহী ছিলেন ৪ জন।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিমানটি ভেঙ্গে পড়ে। বিমানের চার যাত্রীই প্রয়াত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবরে আরও বলা হয়, জার্মান ও ডেনিশ যু”দ্ধবিমান বি’/ধ্ব’স্ত বিমানের সন্ধানে গিয়েছিল। তবে, একটি সুইডিশ হেলিকপ্টার বিমানটিকে সনাক্ত করে। তিনটি ছোট জাহাজ এবং একটি হেলিকপ্টার বর্তমানে লাটভিয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
লাটভিয়ান মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস (এমআরসিসি) সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে তারা বিমানের তিনটি অংশ খুঁজে পেয়েছে। এমআরসিসির মুখপাত্র লিভা ভিটা বলেন, রবিবার বি”ধ্ব/’স্ত হওয়া সেসনা ৫৫১ বিমানে যাত্রীদের কোনো চিহ্ন নেই। সেখানে শুধু তেল ভাসতে দেখা গেছে।
বিমানের যাত্রীদের জাতীয়তা নিশ্চিত করা যায়নি। স্পেনের EFE সংবাদ সংস্থার মতে, চারজনই জার্মান। ন্যাটোর পাইলট এবং সুইডিশ কর্মকর্তারা বি”ধ্ব/স্ত হওয়ার পর বিমানটির সন্ধান করেন। বিমানের ককপিটে তারা কাউকে দেখতে পাননি।
লাটভিয়ান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটি স্পেন থেকে কোলোন যাচ্ছিল। তবে এটি ফ্লাইটের সময় রুট পরিবর্তন করে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বিমানের ক্রুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
ডেটা ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট FlightRadar24 বলছে, স্থানীয় সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটের দিকে স্পেনের শহর জেরেস দে লা ফ্রন্টেরা থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল।
বিমানটি ভূমি থেকে কতটুকু উচ্চতা দিয়ে যাচ্ছিলো কিংবা কি গতিতে চলছিল সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে পারেনি উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞরা। লার্স এন্টনসন যিনি সুইডেনের অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন, তিনি বিমান ভেঙে পড়ার বিষয়ে এএফপিকে জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে বিমানের জ্বালানি তেল শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বিমানটি সমুদ্র ভেঙে পড়তে পারে।