গতকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০ তার দিকে ৭২ আরোহী নিয়ে নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি ভেঙে পরে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। এ দুর্ঘটনায় কাউকেই জীবত উদ্ধার করা যায়নি বলে দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বেঁচে আছেন, এমন কাউকে উদ্ধারকাজের সময় খুঁজে পায়নি তারা। ওই বিমানের ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন পাঁচ ভারতীয়।
সেখানে ৫৩ জন নেপালি, একজন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দুই কোরিয়ান, একজন আর্জেন্টিনীয় এবং একজন ফরাসি যাত্রী ছিলেন। যদিও সব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়নি, তবে জাহাজে থাকা সকলেই মৃত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করতে নেপাল সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। ৪৫ দিনের মধ্যে তারা এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
উদ্ধারকারীরা বিমানের ধ্বংসাবশেষের কাছে একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পেয়েছেন। এতে বিমানটি নামার ঠিক আগের ভিডিও রয়েছে।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। এতে একজন যাত্রীকে নিচে পোখরা শহরের ভিডিও করতে দেখা যায় এবং জানালা দিয়ে সহযাত্রীদের দেখা যায়। এই ভিডিওতে বিমানের ভিতরের শেষ মুহূর্তগুলো দেখানো হয়েছে।
ভিডিওটির শুরুতে যাত্রীদের কথা বলতে এবং হাসতে শোনা যায়, একজন যাত্রীর মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যায়, সম্ভবত সেই ব্যক্তি ভিডিওটি করছেন। আনন্দঘন পরিবেশে হঠাৎ বিঘ্ন ঘটে, বিমানটি পড়ে যেতেই সম্ভবত যাত্রীর হাত থেকে মোবাইলটি পড়ে যায়। জানালার বাইরে যাত্রীদের চিৎকার, বিস্ফোরণের শব্দ এবং প্রচণ্ড আগুন দেখা যায়।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।