বিশ্বসেরা ফুটবোলার তারকা নেইমার। তবে পারিবারিকভাবে তার নাম রাখা হয় নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত-শুভাকাঙ্খি। তবে এবার ভয়াবহ এক ঘটনার সাক্ষী হতে হলো গুণী এই তারকাকে।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নেইমারের বিমান জরুরি অবতরণের খবরে ফুটবল অঙ্গনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় পিএসজি ফরোয়ার্ডের সঙ্গে ছিলেন তার বোন ও বান্ধবী। ভীতিকর ঘটনার পরও সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নেইমার।
বান্ধবী ব্রুনো বিয়ানকার্ডি ও বোন রাফায়েলা সান্তোসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেইমার। সোমবার পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। একই দিনে তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে প্লেন থেকে লাস ভেগাসের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মঙ্গলবার সকালে নেইমারের ব্যক্তিগত বিমানটি ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বোয়া ভিস্তায় জরুরি অবতরণ করে।
মেইমার স্পোর্ট ই মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের ২০০৮ সালে নির্মিত সেসনা ৬৮০ সাইটেশন মডেলের বিমানটি লাস ভেগাস থেকে ব্রাজিলের রাজধানী সাও পাওলোতে যাচ্ছিল।
সোমবার বিকেলে লাস ভেগাস ছেড়েছেন নেইমার। ব্রাজিল যাওয়ার আগে তার বিমান দুটি জায়গায় থামে। বিমানটি ফ্লোরিডা এবং বার্বাডোস হয়ে ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে উড়েছিল।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নেইমারের এজেন্সি জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়। বিমানের উইন্ডশিল্ড ওয়াইপারে সমস্যার কারণে পাইলট সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ওই সময় বিমানে নেইমারের সঙ্গে তার বোন ও বান্ধবীও ছিলেন।
পরে ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় নেইমার জানান, তারা সবাই সুস্থ আছেন।
“আপনার সমস্ত বার্তার জন্য ধন্যবাদ এবং সবকিছু ঠিক আছে। আমরা ইতিমধ্যে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। মাঝখানের ঘটনাটি একটি ছোট ভীতি, এত বেশি নয়। সবাই ভাল এবং একসাথে।”
তবে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলে বিশ্বসেরা এই ফুটবোল তারকা। অন্যদিকে এ খবর জানতে পেরে রীতিমতো দুশ্চিতায় পড়ে গিয়েছিলেন তার অংখ্য ভক্ত। তবে শেষমেষ তার সস্থ থাকার খবরে দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েচে তারা।