সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার শিকার হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বহনকারী একটি বিমান। তবে সৌভাগ্যবশত পাইলটের বুদ্ধিমত্তায় সেই যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলেন ইমরান খান।
ইমরান খানকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করেছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে শনিবার (৮ অক্টোবর) রাওয়ালপিন্ডি শহরের কাছে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।
জনসভা শেষে রাজধানী ইসলামাবাদে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খানে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পর ইমরান খান সরকারি মালিকানাধীন হেলিকপ্টারে রাজধানী ইসলামাবাদে ফিরছিলেন। মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় হেলিকপ্টারটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে রাওয়ালপিন্ডি শহর এলাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে আদিয়ালা গ্রামের কাছে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করে। পরে ইমরান খানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে একটি গাড়িতে করে ইসলামাবাদে তার বানিগালার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের পর যে গাড়িতে করে ইমরান খানকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সেটি পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী বাশারত রাজার বাসভবন থেকে আনা হয়।
দ্য ডন জানিয়েছে যে ইমরান খানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির জরুরি অবতরণের কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। জরুরি অবতরণের খবর পেয়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাবি করেন, ‘স্বল্প জ্বালানি’র কারণে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটিতে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা ছিল।
এ সময়ে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের পরপরই ইমরান খানকে দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান সেখানে বসবাসকারী অনেকেই। তাদের বেশির ভাগই ছিলেন যুবক। এ সময়ে তারা ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলছিলেন।