বর্তমান আধুনিক যুগে একদেশ থেকে অন্য দেশে অতিদ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াতের ক্ষেত্রে আকাশ পথের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেই আকাশ পথেই ঘটে থাকে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আর এরই জের ধরে এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বিমানের মাস্কাটগামী একটি ফ্লাইটের সঙ্গে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের মাস্কাটের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪১০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ১২১ ফ্লাইট। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই মাঝ-আকাশে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় পাইলট ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেন।
ফ্লাইটের যাত্রীরা জানান, সময়মতো বিমানটি চট্টগ্রাম থেকে টেক অফ করতে পারেনি। দেরি করে উড্ডয়নের পর যখন আবার ঢাকায় অবতরণের সিদ্ধান্ত নিল, তখন আমরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। বিমানটি ঢাকায় অবতরণের পর সবাই নেমে যায় এবং অনেকক্ষণ পর সবাইকে অন্য প্লেনে তোলা হয়। কিন্তু পরবর্তী ফ্লাইটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা প্রায় আধা ঘণ্টা বিদ্যুত বিহীন বিমানে বসে থাকেন। এসি লাইট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এদিকে, বিমানের চরম অব্যবস্থাপনার কারণে এমন অবস্থা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওমানিগামী যাত্রীরা। তাদের প্রশ্ন, ফ্লাইটের আগে যথাযথ পরিদর্শন না করে কেন যাত্রীদের বিমানে তোলা হলো?
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এই মাস (ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিমানে এ ধরনের অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকাণ্ড হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে অব্যবস্থাপনা, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ নানা অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠনটি। এছাড়া ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে ঢোকার সময় দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ, বোর্ডিং ব্রিজ না খুলে পার্কিংয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, ফ্লাইটে ওভার পাওয়ার ব্যবহার করে ইঞ্জিন বিকল, উইন্ডশিল্ডে ফাটল, উড্ডয়নের সময় ইন্ডিকেটরে ত্রুটি- এমন ঘটনাও ঘটেছে।
কিন্তু এতো সব ভোগান্তির পরও এই দিকে তেমন কোনো গুরুত্বই দেয়নি বিমান সংস্থাটি। আর এরই জের ধরে কয়েকদিন পরপরই নানা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সবাইকে।