বিমান পথকে অনেকে দূরত্ব ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করে থাকে। বিমানে কেউ যদি অসুস্থ হয় তার প্রথমই চিকিৎসার জন্যও থাকে বিশেষ ব্যবস্থা। তবে অনেক সময় তাদের যে ব্যবস্থা থাকে তা দিয়ে কাজ হয় না। সম্প্রতি এক সংবাদ সূত্রে জানা যায়, লেঙ্গানার গভর্নর, তামিলিসাই সৌন্দররাজন, একজন আইপিএস অফিসার ADG জীবন বাঁচিয়েনিলেন। তিনি অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের পদমর্যাদা প্রাপ্ত একজন বায়ুবাহিত ডাক্তার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজ্যপাল ইন্ডিগো দিল্লি-হায়দরাবাদ ফ্লাইটে ছিলেন। ওই ফ্লাইটে ছিলেন আইপিএস অফিসার কৃপানন্দ ত্রিপাঠি উজেলা। 1994 ব্যাচের অফিসার কৃপানন্দ ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছেন। তিনি এখন হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ অফিসার ফোনে পিটিআই নিউজ এজেন্সিকে বলেছিলেন: ম্যাডাম গভর্নর, আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। তিনি আমাকে মায়ের মতো সাহায্য করেছেন। না হলে, আমি হাসপাতালে যেতে পারতাম না।” কৃপানন্দ একজন ক্যাডার অফিসার। অন্ধ্রপ্রদেশ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিজিপি (রোড সেফটি) হিসেবে নিযুক্ত।
গভর্নর, পেশায় একজন ডাক্তার, শুক্রবার মধ্যরাতে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে তেলেঙ্গানার রাজধানীতে ফিরছিলেন। মাঝ আকাশে এক যাত্রী বললেন, তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন। রাজ্যপাল তখন আইপিএস আধিকারিকের কাছে যান। কৃপানন্দ বলেছিলেন: ‘লেডি গভর্নর যখন আমাকে পরীক্ষা করেছিলেন, তখন আমার হৃদস্পন্দন ছিল মাত্র ৩৯। তিনি আমাকে সামনে ঝুঁকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং আমাকে শিথিল হতে সাহায্য করেছিলেন। এটা আমার শ্বাস-প্রশ্বাসকে স্থির করেছে।” এদিকে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট হায়দরাবাদে নামার পর তিনি সরাসরি হাসপাতালে যান। সেখানে তার বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং তার প্লেটলেট সংখ্যা ১৪,০০-এ নেমে আসে। তিনি বলেন, লেডি গভর্নর যদি ওই ফ্লাইটে না থাকতেন, তাহলে তিনি বাঁচতেন না। এটি আমাকে একটি নতুন জীবন দিয়েছে।
অসুস্থ হওয়া সেই ADG এখন সুস্থ আছেন। বিমানে চিকিৎসার এমন ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন ওই ADG। বিমান থেকে নামার পর তাকে চেকাপের জন্য হাসপতালে যাওয়া প্ররামর্শ দেন ওই আইপিএস অফিসার।