বর্তমানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে খুবই দ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াতের ক্ষেত্রে এখন আকাশ পথকেই বেছে নিচ্ছে সবাই। যাত্রীদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিমানের মধ্যেই সবরকম সুবিধা দিয়ে থাকছে বিমান কতৃপক্ষ। তবে মাঝে মধ্যেই সেই যাত্রীদের কারণেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় সবাইকে। এরই আলোকে সম্প্রতি এবার সামনে এলো এমনই একটি ঘটনা।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে আসছিল। তবে এক যাত্রী মাঝ আকাশে তার ব্যাগে বোমা আছে বলে হামলার হুমকি দেন। এতে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গাপুর বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয় এবং তাদের পাহারায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তবে ব্যাগে বোমা থাকার বিষয়ে যাত্রীদের দাবি মিথ্যা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও সিএনএন।
“সান ফ্রান্সিসকো থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যাত্রী বোমার হুমকির পরে আমাদের দু’টি এফ১৬সি/ডিএস যুদ্ধবিমান পাঠানো হয় এবং ফ্লাইটটিকে পাহারা দিয়ে নিরাপদে অবতরণ করানো হয়।’
দেশটির বিমান বাহিনী আরও বলেছে, “চাঙ্গি বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ না করা পর্যন্ত আমাদের যোদ্ধারা বিমানটিকে পাহারা দিয়েছিল।”
এদিকে, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন যে একজন যাত্রী ব্যাগের ভিতরে বোমা আছে বলে হুমকি দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই বিমানবন্দরে সেনাবাহিনীকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন’ করা হয়।
সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, (সেনাবাহিনীর) কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল, রেডিওলজিক্যাল এবং এক্সপ্লোসিভস ডিফেন্স গ্রুপ এবং এয়ারপোর্ট পুলিশ ডিভিশনের দল বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে ৩৭ বছর বয়সী একজন পুরুষ যাত্রী বলেছিলেন যে তার বহন করা ব্যাগে একটি বোমা ছিল যখন বিমানটি মাঝ আকাশে। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে।’
এদিকে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কিছুই জানাননি দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তবে এ ব্যাপারে দেশটির এক সংবাদ মাধ্যমকে এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় বিমানের মধ্যে থাকা সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও, সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে।