নিজের বয়সের তুলনায় অনেক ছোট যুবককে বিয়ে করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন নাটোরের কলেজকিশ্হিকা খাইরুন নাহার (৪৫)। তবে মামুনকে বিয়ে করা নিয়ে সমাজের মানুষ নানা কটু কথা বললেও খাইরুন নাহার বলেছিলেন, মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। তবে এরই মধ্যে ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
গত রোববার (১৪ আগস্ট) নাটোরে একটি ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের লা/শ উদ্ধারের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এটি কি ‘আত্মহ/নন’? না ‘মা/র্ডা/র/’ শিকার হয়েছেন।
এমন প্রশ্নের কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। তবে ঘটনার পরপরই খায়রুনের সাবেক স্বামী ও মামুনের সম্পর্কে তথ্য বেরিয়ে আসছে।
পুলিশ ধারণা করছে এটি একটি আ/ত্ম/হ/নন/ তবে এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। তবে অনেকের উত্তর নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই খায়রুনকে ফোন করতেন সাবেক স্বামী। এ নিয়ে মামুনের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। ফোনের বিষয় নিয়ে খায়রুনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মামুন। মাঝে মাঝে কান্নার শব্দ শোনা যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
জানা গেছে, মাদকাসক্ত মামুন তার কলেজ শিক্ষিকা স্ত্রীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। লেখাপড়ার ব্যাঘাত না ঘটাতে নাটোর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন খায়রুন। এই ভাড়া বাড়ি থেকে প্রতিদিন ৩৫ কিলোমিটার দূরে কলেজে যাতায়াত করতেন। এ ছাড়া খায়রুন মামুনকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। কিন্তু এরপরও থামেননি মামুন। একের পর এক দাবি করতে থাকে মামুন।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে মাস কয়েক আগেই মামুনের সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ঐ শিক্ষিকার। এরপর পরিবারের সম্মতিতে বিয়েও করেছিলেন তারা। কিন্তু সংসারটাকে গুছিয়ে নেয়ার আগেই প্রাণ দিতে হলো খাইরুন নাহারকে।