Sunday , September 8 2024
Breaking News
Home / Exclusive / মাঝরাতে স্ত্রীর মোবাইলে অফিসের বসের এসএমএস

মাঝরাতে স্ত্রীর মোবাইলে অফিসের বসের এসএমএস

মাঝরাতে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ আসার রিং শুনতে পান স্বামী। হাতে মোবাইল তুলে নিয়ে দেখতে পান, মেসেজটি অন্য কারো নয় তার বসেরই পাঠানো। সেই বিব্রত অবস্থা সৃষ্টি করা সংক্ষিপ্ত বার্তা পাওয়ার পর থেকে ভদ্রলোক সবসময় চিন্তায় ভুগছেন এবং তিনি আশা করলেন এটা যেন আর না ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি জানতেন যে তার স্ত্রীর মোবাইলে অনেক ব্যক্তিগত বিষয় থাকতে পারে যেটাতে হাত দেওয়াটা ঠিক নয়। কিন্তু মাঝ রাতে নিজের স্ত্রীকে কোন ব্যক্তি বার্তা পাঠালো তা দেখার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন। পরে তিনি দেখলেন তার স্ত্রীর অফিসের বস তার স্ত্রীর ফোনে একটি বাজে ধরনের এসএমএস পাঠিয়েছেন। ঐ মেসেজে বস যেটা লিখেছেন সেটা হলো, তিনি তাকে (স্ত্রী) জড়িয়ে ধরে রাখতে চান। এটা দেখে তিনি এখন চিন্তিত হয়ে আছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, আমি তাদের এই যোগাযোগ বন্ধ করতে চাই এবং স’ন্দেহ করছি বসের সঙ্গে স্ত্রীর এই মেসেজের চেয়ে বেশি কিছু চলছে। কারণ স্ত্রীকে মেসেজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমাকে মিথ্যা বলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ অ্যাগ্রিগেটর রেডিটকে ওই ব্যক্তিকে বলেন, গত বছর আমার স্ত্রী নতুন একটি চাকরি পায়। সে খুব পরিশ্রম করছিল এবং দীর্ঘ সময় কাজ করছে। তাই ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনা আমিই করছি। আমি জানি কয়েক সপ্তাহ ধরে সে তার বসের সঙ্গে মেসেজ আদান-প্রদান করছে। সম্প্রতি আমাদের সম্পর্ক জ’টিল হয়ে উঠছে। সন্দেহ করছি বসের সঙ্গে কিছু একটা হচ্ছে। আমি জানি সম্মতি না নিয়ে তার মোবাইল ধরা আমার ঠিক হয়নি। কিন্তু আমি তা করেছি।

তিনি বলেন, রাতে বস তাকে (স্ত্রীকে) শুভ রাত্রি জানায়, জ’ড়িয়ে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করাসহ আরো বিভিন্ন মেসেজ পাঠায়। যদিও সে এসব অস্বীকার করেছে। আমি জানি সে প্র’তার/ণা করছে না। কিন্তু সে সত্যটাও বলছে না। এমনকি এটা শারীরিক সম্পর্কেরও কিছু না, কিন্তু তার বসের ব্যাপারে আমার খুব রাগ হচ্ছে।

তিনি রেডিটের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি কি এই ব্যাপারে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, নাকি বসের স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন?

রেডিটের এক ব্যবহারকারী তাকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, আপনার স্ত্রী হয়’রা/নির শি’/কা’র হচ্ছে। তিনি সম্ভবত প্র’তা/’রণা করছেন না, কিন্তু তিনি সমঝোতা করে চলছেন। পরিবারকে সহায়তা করতে তিনি চাকরিটা হারাতে চাচ্ছেন না। আপনি তাকে সমর্থন করুন। একসঙ্গে আলোচনা করুন। আপনারা একে অন্যকে সহযোগিতা করলে আপনাদের বিয়েটা মজবুত হবে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পরকীয়ার বিষয়টি খুব বেশি ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মজীবী মহিলার এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে অনেক সংসার ভেঙ্গে দিচ্ছে যার কারনে তার প্রভাব পড়ছে দুজনের জীবনে এমনকি সন্তান থাকলে তাদের উপর সর্বাধিক প্রভাব পড়তে দেখা যায়। কারন পিতামাতার কোনো একজনের অভাব নিয়ে জীবনে বড় হতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে স্বাভাবিকতা থেকে সরে এসে একটি বিরুপ মানুষিকতার জীবন পাচ্ছে তারা। যেটা ঐ পিতামাতা সম্পর্কে জড়ানোর আগে ভাবে না। সমাজে এই ধরনের ঘটনার মাশুল দিতে হচ্ছে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সন্তানদের।

ডেইলি মিরর অনলাইন থেকে গৃহীত

 

 

 

About

Check Also

চুলের মুঠি ধরে নারী চিকিৎসককে রোগীর মারধর (ভিডিও সহ)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *