মাওলানা তারিক জামিল পাকিস্তানে একজন পাকিস্তানে ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাদৃত। তার বক্তব্যে প্রভাবিত হয় রাজনৈতিক নেতারাও। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন, মাওলানা তারিক জামিল ইমরান খানের সরকারি বাসভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বয়ান ও দোয়া পরিচালনা করেছিলেন।
তিনি মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন। দাওয়াতে তাবলিগের সংস্পর্শে বদলে যায় তার জীবন। হয়ে উঠেন আধ্যাত্মিক রাহবার। দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বময় তিনি এখন মুসলিম যুবকদের আদর্শ-অনুকরণীয় ব্যক্তি।
তিনি যেমন ধর্মপ্রাণ ও ইসলামি অঙ্গনের মানুষের কাছে বরণীয়, তেমনি পাকিস্তানি ক্রিকেটার, অভিনেতা, সেলিব্রিটিদের মধ্যেও তার প্রভাব রয়েছে।
বর্তমানে একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হলেও মাওলানা তারিক জামিল প্রথম জীবনে দশজন সাধারণ যুবকের মতো ছিলেন। খেলাধুলা, উৎসব, সিনেমা দেখা তার জন্য সাধারণ ছিল।
মাওলানা তারিক জামিল নিজেই তার জীবন বদলের গল্প বলেছেন- ‘আমি দীনি পরিবেশে বেড়ে উঠিনি, জুনাইদ জামশেদের মতো আমিও একসময় গান গাইতাম, সিনেমা দেখতাম।’
ডাক্তারি পড়ার সময় তার জীবন বদলে যায়। সে সময় এক বন্ধুর মাধ্যমে তাবলীগের সংস্পর্শে আসেন এরপর ধীরে ধীরে তার জীবনে পরিবর্তন আসে।
মাওলানা তারিক জামিল বলেন, আমার এক স্কুল বন্ধু তাবলীগ বয়ান করতেন। সে আমাকে এক প্রকার জোর করেই তিন দিনের জন্য তাবলিগে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই মূলত আমার মনে হলো ডাক্তার নয়, আমাকে তাবলিগ করতে হবে। মানুষের কাছে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। এই বোধদয়ের পর তাবলিগ থেকে ফিরেই আমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যাই।
১৯৭১ সালে মেডিকেল কলেজ ছেড়ে তিনি লাহোরের জামিয়া আরাবিয়া, রায়বেন্ডে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তার বাবা তার ডাক্তারি পেশা ত্যাগ করে ছেলের ধর্মীয় শিক্ষার বিরোধিতা করেন। এ কারণে তাকে জামিয়া রশিদিয়া শাহিওয়ালে ভর্তি করা হয়। পরে তার বাবা ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টি মেনে নিয়ে তাকে রায়বেন্ড মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। এখানেই তিনি কুরআন, হাদিস, ফিকহ, শরিয়া, তাসাউফে বুৎপত্তি অর্জন করেন৷