কয়েক সপ্তাহ আগে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলের এখনো কোন নিষ্পত্তি হয়নি। বিষয়টি আদালত চত্বর পর্যন্ত গেলে তখন গুন্জন উঠেছিল আদালত অবমাননার। এফডিসিতে ( FDC ) আবারও আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত হলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরেও, তিনি নাকি এফডিসির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বেশ কয়েকবার বসেছেন। অথচ আদালতের সিদ্ধান্ত ছিল, পূর্ণাঙ্গ আদেশ না হওয়া পর্যন্ত কেউ চেয়ারে বসতে পারবে না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন অভিনেতা জায়েদ খান ( Zayed Khan ) ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। নির্বাচনের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পদ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে কেউ বসতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। এদিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়া নিপুন আক্তার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে কয়েকবার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন। এমন পরিস্থিতিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছিলেন নির্বাচনে জয়ী জায়েদ খান ( Zayed Khan )। এর পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খান ( Zayed Khan ) ও নিপুণ আক্তারকে ( Nipun Akhtar ) সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ।
নিপুণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি নিয়ে ১৪ মার্চ (সোমবার ( Monday )) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর ( Hasan Fayez Siddiqui ) নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। কিন্তু তারপরও গত ( Past ) ১৭ মার্চ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুণ। গত ( Past ) শনিবার (২৬ মার্চ) সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক ( Simon Sadiq ) নিপুনের চেয়ারে বসে থাকা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। ছবিতে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকেও ( Elias Kanchan ) দেখা যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে আজকের বৈঠক হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে এমন খবর শোনা যাচ্ছে।
আইন অমান্য করে বৈঠকের বিষয়ে জানতে ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফোন করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দেখুন, আমি নিজেও এ বিষয়ে পরিষ্কার নই। নিপুনের আইনজীবী তার পক্ষে কথা বলেন, জায়েদের আইনজীবী জায়েদের পক্ষে কথা বলেন। শুধু তাই নয়, মহামান্য বিচারপতিও বিষয়টি পরিষ্কার করছেন না। আমি বা আমরা কি করব? আমাদের একটা মিটিং করতে হবে! মিডিয়ার কাছে আদালতের নির্দেশ আছে, কিন্তু আপনি জানেন না, “তিনি বলেন, আমি আর অ্যাডভোকেট নই।
সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকের বিষয়ে শিল্পী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডিপজল ও সহ-সভাপতি রুবেলসহ মিশা-জায়েদ প্যানেলের অনেক সদস্যই জানেন না। ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি দপ্তর ও প্রচার সম্পাদকের কাছে জানা আছে। আমি তাদের সবাইকে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তারা আর না থাকলে ভালো করে জিজ্ঞেস করুন।
প্রসঙ্গত ( Past ), এফডিসিতে ( FDC ) আজকের বৈঠকের বিষয় কোনো সিনিয়র নেতা জানেন না, তাহলে বৈঠক হবে কাদের ( ? ) নিয়ে। এমনই মন্তব্য করেছেন শিল্পী সমিতির কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাবৃন্দ। প্যানেল সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, আমাদেরকে কেউ কিছু জানান নি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিল্পী সমিতির দপ্তর সম্পাদকের কাছে গেলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।