জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সারা দেশের মত বরগুনাতেও আয়োজন করা হয়েছিল শোক দিবসের অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই যেন রণক্ষেত্রে পরিনীত হয়েছিল গোটা বরগুনা জেলা। পুলিশের হাতে বেধড়ক পিটুনি খেয়েছিল সেদিন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। আর সেই ঘটনার পুরো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এএসপি মহরম আলি। এবার সেই এএসপির পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক গোলাম রব্বানী।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো হুবহু:-
হায়, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ!!!
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠানকালীন সময়ে কোন অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তিনতলার উপর থেকে কেউ নাকি ঢিল মেরেছে, তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল স্যারের গাড়ীর কাঁচ ভেঙ্গেছে!
তিনতলা থেকে কে বা কারা ঢিল মেরেছে কেউ দেখে নাই, জিজ্ঞাসাবাদ করে দোষী ট্রেস করার চেষ্টা বা এমপির মধ্যস্থতায় প্রয়োজনে সবার থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে গাড়ির কাঁচ রিপ্লেস করা বা বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যুক্তিসঙ্গত ছিলো। কিন্তু প্রচন্ড ক্ষোভে ডিবি ও দাঙ্গা পুলিশ ডেকে সিরিয়াল করে পাঁচ শতাধিক ছাত্রনেতা-কর্মীকে স্থানীয় এমপির সামনে যে নির্বিচার নির্মমতায় পেটানো হলো, মনে হচ্ছে বংশ পরস্পরায় কয়েক জনমের শত্রুতা! ক্ষমতার কি নির্লজ্জ অপব্যবহার!!
বিনা উস্কানিতে সেই নেক্কারজনক হামলার নির্দেশদাতা কর্মচারীর নাম- মহরম আলী মাসুদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্রদল ক্যাডার, যিনি ছাত্রদলের হয়ে প্রত্যেকটা মারামারিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন!
স্যারের ঠিকানাঃ
গ্রাম: ষোলগড়, পোস্ট: মঙ্গলকাটা,
ইউনিয়ন: সুরমা, উপজেলা: সুনামগঞ্জ সদর, জেলা: সুনামগঞ্জ।
বাবা বাচ্চু মিয়া স্থানীয় বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী, চাচাসহ পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত!
পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইলে, যেকেউ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি, আলহাজ্ব মতিউর রহমান (সাবেক এম.পি.) মহোদয় এর সাথে কথা বলতে পারেন। ঠিক কত বছর যাবত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এভাবে প্রচন্ড আক্রোশে আঘাত করার খায়েশ অন্তরে জমিয়ে রেখেছিলেন, কখনো সামনে পেলে জানার চেষ্টা করবো!
এ ঘটনার সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দোষীদের বরখাস্ত করে, প্রত্যকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও প্রচলিত আইন অনুসারে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া অবধি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের প্রতি আহবান, সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি বর্জন করো। ন্যায়বিচার না পেলে, অন্যায়ভাবে মার খেয়ে রাজনীতি করার কোন দরকার নাই!!
রাজনীতি করতে এসে যদি নূন্যতম ব্যক্তিত্ব-সম্মান না থাকে, তাহলে সেই রাজনীতি অসার ও নিষ্প্রয়োজন!
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনার জের ধরে ঐ এএসপিকে বদলি করা হয়েছিল বরিশালে। তারপর সেখান থেকে তা আবারো বদলি করে দেয়া হয় চট্টগ্রামে। এ নিয়ে এখনো চলছে বেশ আলোচনা সমালোচনা।