প্রায় সারা-দেশজুড়েই ছাত্রলীগের নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দেশের সাধরণ মানুষ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিনিয়ত নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। আর সেই ধারাবাহিকতায়র মধ্যদিয়ে ফের সামনে এমনই একটি ঘটনা।
জানা যায়, মারামারি ও ভাংচুরের জের ধরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ও তার ভাই ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানমুন খানকে মসজিদের মাইক্রোফোনে ঘোষণা দিয়ে ধাওয়া করে স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে পূর্ব ভালুকা উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৃজন সরকার ও তার ভাই রাজন সরকারের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সিয়াম, ফয়সাল ও ইসানের হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে রোববার রাতে সৃজন ও রাজনের বাবা নাজমুল হক সরকারের আসবাবপত্রের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ও তার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানমুন খান। . এ সময় তারা দোকানের কর্মচারী শরীফ ও শহিদকে বেধড়ক মারধর করে।
পরের দিন রোববার দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে একটি মোটরযান একটি আসবাবপত্রের দোকানে ভাংচুর করে এবং তাদের খোঁজ করতে সৃজন ও রাজনের বাড়িতে যায়। পরে মসজিদের মাইক্রোফোনে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় সবাই পালাতে সক্ষম হলেও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। স্থানীয় বড়দের হস্তক্ষেপে শামীমকে চড় মেরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে ছাত্রলীগ নেতা শামিম আহাম্মেদের সঙ্গে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এ ঘটনায় সংগঠন থেকে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।