কিছুদিন আগে খুলনায় রহিমা বেগম নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে তিনি কে নিজের বুদ্ধিতে এমনটি করেছিলেন, নাকি তাকে আত্মগোপনে নেয়ার পেছনে অন্য কারো হাত ছিল, সে বিষয়ে পিবিআই বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে রহিমা বেগমকে। প্রথমদিকে রহিমা বেগম যে সমস্ত তথ্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়েছিলেন, সেটা পরবর্তী সময়ে বদলে ফেলেছিলেন যখন তিনি তার মেয়েদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে পিবিআই মূল কারনটি সামনে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রহিমা বেগমের নিখোঁজ হওয়ার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তার বর্তমান স্বামী বেল্লাল ঘটকের নাম আসছে। স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করাসহ তিনি কোথায় থাকবেন, পরবর্তী মিশন কী হবে, কার কাছে আশ্রয় নেবেন, এর বেশিরভাগই বেল্লাল জানতেন বলে দাবি পিবিআইয়ের। পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, তদন্তে তারা জানতে পারেন, রহিমা বেগম গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বান্দরবানে যান।
প্রথমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আর্মিপাড়া এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নেন। একটি প্রতিষ্ঠানে ভাত রান্নার চাকরিও নিয়েছিলেন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জটিলতায় পড়েন তিনি। পরে রহিমা বান্দরবান থেকে ফরিদপুরে চলে আসেন।
পুলিশ সুপার জানান, রহিমা বেগমের বর্তমান স্বামী বেল্লাল ঘটক তাকে খুলনায় বাড়ি ছেড়ে যেতে সাহায্য করাসহ তার নিখোঁজের বেশিরভাগ ঘটনা জানতেন। এ কারণে পুলিশ এখন তাকে এই নিখোঁজের মূল পরিকল্পনাকারী বলছে।
রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ও পরে জামিন পাওয়া দুই ভাই মহিউদ্দিন ও গোলাম কিবরিয়া জানান, খুলনা জেলা কারাগারে বেল্লাল ঘটকের সঙ্গে তাদের বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। পিবিআই তাকে রিমা’ন্ডে নিতে পারে এমন খবরে বেল্লাল খুবই চিন্তিত।
এদিকে রহিমা বেগম এবং তার মেয়ে আদুরী বেগমের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে পিবিআই। কারণ হিসেবে পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আদালতে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আদালতকে হয়’রানি করেছে। তাছাড়া যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা যদি না পাওয়া যায়, তাহলে বাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।