কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘জিয়া ভাই, মুক্তিযোদ্ধা না এ কথা বললে আমি মেনে নেব না। আ. লীগের অনেকেই বলেন, উনি বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছেন, খুনে সহযোগিতা করেছেন অথবা জানতেন, এগুলো মুখে না বলার চাইতে মামলা করে উনাকে মরণোত্তর ফাঁসি দেন তাতেও আপত্তি নেই, কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না; পাকিস্তানের এজেন্ট এসব কথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা ভালো না।’
মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে দারিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপির ভাইয়েরা একটি হাওয়া ভবন বানিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা একবারও বলে নাই এটি ভুল ছিল, অন্যায় হয়েছে, ক্ষমা চাই। ওনারা খুব জনপ্রিয়, যেন আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী হবেন। ইয়াহিয়া খানও চেয়েছিল, এ দেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই, কিন্তু মাটি পায় নাই।’ এ সময় দৃঢ় কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের মতামত ছাড়া, বাংলার মানুষের ইচ্ছা ছাড়া, বাংলার মাটি কেউ পাবে না।’
তিনি দেশে আগুন লাগিয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী কাদের সিদ্দিকী দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন দিয়ে দেশ জ্বালিয়ে দিয়েছেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ড. কামাল হোসেনকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে তার জোটে যোগ দেওয়া। কিন্তু আসলে তিনি নেতা নন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে না, আমি সেই নির্বাচনে দাঁড়াব না। সব ভোটার যখন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে, আমি সেই ভোটে দাঁড়াব। এটা আমি আমার বোনকে (প্রধানমন্ত্রী)ও বলেছি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, যারা স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, তারা আইয়ুব খানের সন্তান হলেও বাংলাদেশে তাদের কোনো স্থান নেই। আমেরিকা, চীন, সারা বিশ্ব তাদের সাথে নাচলেও তারা বাঙালিদের সাথে নাচতে পারবে না। বাংলাদেশ আমাদের দেশ, আমরা যাকে খুশি তাকে দিয়ে দেশ চালাব।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বঙ্গবীর বলেন, ‘নৌকা মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে, মানুষকে সম্মান করার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখবেন, একটি গাঁজার নৌকা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে চলে, একটি ভাল নৌকা জল ছাড়া চলতে পারে না।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নবী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীরপ্রতীক), শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন প্রমুখ। হোসেন সজীব, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুন্নবী সোহেল, আলমগীর সিদ্দিকী, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।