পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে জয়লাভের পর এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনে নামতে পারেন। এবার তার বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে এবং তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন বর্ষীয়ান নেতা। গতকাল (বুধবার) অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। তার সংবাদ সম্মেলন করার সময় জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়ার অনেকক্ষণ পর দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই ধরনের অবজ্ঞাতার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমা’লোচনায় সোচ্চার হয়ে ওঠে বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় সংগীতকে অসম্মান করেছেন মমতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজেপি নেতারা ওই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, হঠাৎ মাঝপথে জাতীয় সংগীত শেষ করে দিয়েই বসে যান তিনি।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মমতার বিরুদ্ধে পু/লি’শে অভিযোগ জানান এক বিজেপি নেতা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাই বিজেপির এক নেতা মমতার বিরুদ্ধে ‘জাতীয় সংগীতের প্রতি অসম্মান দেখানোর’ অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘বসা অবস্থায় জাতীয় সংগীত গেয়েছেন মমতা’ এবং তারপরে ‘৪ বা ৫টি শ্লোকের পরে হঠাৎ জাতীয় সংগীত থামিয়ে দেন তিনি’।
মিসেস ব্যানার্জি তার পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন যেদিন তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন- একটি হুইলচেয়ারে করে তিনি রাজ্য জুড়ে প্রচারনায় নেমেছিলেন যার কারনে ভোটাররা তার প্রতি মমত্বও দেখিয়েছিলেন৷ প্রতিটি সমাবেশে, তিনি বলেছিলেন যে, বিজেপি শাসনের অধীনে দেশকে যেভাবে পরিচালনা করছে সেখানে এই আ’ঘাত কিছুই নয়। “আমি অনেকবার মাথায় আ’ঘাত পেয়েছি। আমি অনেকবার উরুতে আ’ঘাত পেয়েছি। আমি সেই সব আ’ঘা/ত কাটিয়ে উঠেছি। আমি যদি আমার ব্যথার কাছে নতি স্বীকার করে শুয়ে থাকি তাহলে বিজেপি জনগণের জন্য ব্যথার কারণ হবে। সেই ব্যথা আমার এই ব্যথার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি বলেন।