মানিকগঞ্জ-২ আসন (সিংগাইর, হরিরামপুর ও সদর) থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন মমতাজ বেগম। তবে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু মনোনয়ন না পেয়ে ট্রাক প্রতীকে নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন।
নৌকা ডোবাতে মনোনয়নবঞ্চিত দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর পক্ষে বেশিরভাগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জেলা ও উপজেলার প্রভাবশালী নেতাকর্মীর অধিকাংশ প্রকাশ্যে, কেউবা গোপনে কাজ করছেন। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী ভোটের কৌশল ঠিক করছেন। একসময় নৌকার মানুষ থাকলেও এখন তারা নৌকা ডুবানোর পরিকল্পনা করছে!
টুলুর মতো নৌকার মনোনয়ন চেয়েও পাননি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, আওয়ামী লীগের একসময়ের ডাকসাইডের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, একসময়ের তুখোড় ঢাবির ছাত্রনেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ চঞ্চল। কিন্তু তারা সবাই নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র থেকে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলুর ট্রাকে উঠে তার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, জেলা সহ-সভাপতি বলধারা ইউনিয়নের বহুবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজেদ খান। মমতাজ বেগম এমপিকে ফাঁকা মাঠে গোল করতে দেবেন না বলে তিনি সোজাসাপ্টা জানালেন। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি।
তার সাথে সিংগাইরের ১১টি ইউনিয়নের ৯ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ ও প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর পক্ষ নিয়ে নৌকা ডুবিতে সক্রিয় রয়েছেন। টুলুর নির্বাচনী মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন।
গুরুতর হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান। তার মতে, প্রধানমন্ত্রীর নৌকা প্রতীক নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে কাকে এই প্রতীক দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আপত্তি ও অভিযোগ রয়েছে আমাদের। তাই আমরা অপেক্ষাকৃত ভালো প্রার্থীকে বেছে নিয়েছি। আমি যাকে বেছে নিয়েছি সেও আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও মানুষের বন্ধু।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা জনগণ প্রমাণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার সংসদীয় আসনে যে কাজ করেছি, তাতে আল্লাহর রহমতে সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের জামানত (ভোট) দিয়ে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করবেন।