বাংলাদেশে এখন চলছে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট। আর এই সংকট কাটানোর জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। এরপরেও যেন অবস্থার কোন ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে না। এ দিকে তেল নিয়ে সরকারের ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন আনু মোহাম্মদ।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনি তুলে ধরা হলো হুবহু:
সরকারের প্রধান তথ্যসূত্র সর্বশেষ ‘বাংলাদেশ ইকনমিক রিভিউ ২০২২’ (জুন ২০২২ এ প্রকাশিত) কী বলছে? তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৪-১৫ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার তেল আমদানিতে কোনো ভর্তুকি দেয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন তেল আমদানিতে সরকার বিপুল ভর্তুকি দিচ্ছে। মন্ত্রী বাহাদুররাও একই আওয়াজ দিচ্ছেন গত কয়দিন ধরে।
ভর্তুকি=০০। এই সময়ে শুল্ক থেকে আয় ছাড়াও বরং মুনাফা করেছে নিম্নরূপ:(কোটি টাকায়)
২০১৪-১৫: ৪১২৬.০৮,
২০১৫-১৬: ৯০৪০.০৭,
২০১৬-১৭: ৮৬৫৩.৪০,
২০১৭-১৮: ৫৬৪৪.৩৭,
২০১৮-১৯: ৪৭৬৮.৪২,
২০১৯-২০: ৫০৬৬.৫৪,
২০২০-২১: ৯৫৫৯.৪৫,
২০২১-২২ (২৩শে মে,২০২২ পর্যন্ত):১২৬৩.৭৮।
এই হিসাবে তেল থেকে সরকারের শুল্কআয় ছাড়াও এই কয়বছরে মোট মুনাফা ৪৮ হাজার ১২২ কোটি ১১ পয়সা।
জনগণের কাছ থেকে মুনাফা করা এই টাকার কোনো হদিস সরকার এখনও দেয় নাই। উপরন্তু যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে তখন বাংলাদেশে তা বাড়িয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, ভারত পাকিস্তানের চাইতেও বেশি। এর কারণে বাসভাড়া সহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় বাড়তি দাম আরও লাফিয়ে বাড়ছে।
প্রসঙ্গত,এ দিকে দেশের তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এখনো নানা ধরনের আলোচনা। তবে এ বিষয়ে সরকার আস্বস্ত করছে জনগনকে বার বার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে আবারো সমন্বয় করা হবে তেল সহ সবকিছুর দাম।