দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের। মাগুরা-২ আসন থেকেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার। এদিকে দেশের সেরা এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন অদূর ভবিষ্যতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন সাকিব। কিন্তু টাইগারদের পোস্টারবয় চাই ভিন্ন কিছু। মন্ত্রণালয় নয়, দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা বিসিবির সভাপতি হতে চান সাকিব।
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাকিবের মন্তব্য, দেশের ক্রিকেটে ভূমিকা রাখতে তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলে আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তাই মন্ত্রীত্বে তার কোনো আগ্রহ নেই।
সাকিবের ভাষ্যমতে, ক্রিকেটের প্রতি যেহেতু আলাদা ভালোবাসা আছে, ক্রিকেটের বাইরে কখনো চিন্তা করার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না। যদি স্পোর্টসে থাকতে হয়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো একটা জায়গা। এখন পর্যন্ত আমি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো ভূমিকা দেখিনি, যা বাস্তবে এমুন কোনোকিছু পরিবর্তিত হয়েছে।
ক্রিকেটের মতোই অনেক কিছু পরিবর্তন করা যায়, যোগ করেন তিনি। এটা যেহেতু স্বাধীন সংস্থা, যদি পরিবর্তন করতে হয় বা কিছু পরিবর্তন করার থাকে, এখানেই অনেক বেশি আছে। স্বাভাবিকভাবে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে, অনেক বিষয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এগুলো আমার কাছে কষ্টকর মনে হয়।