কার ভাগ্যে কখন কি ঘটবে সেইটা আসলে কেহই জানেনা কেননা ভবিষ্যত অনিশ্চিত। জীবনে কিছু কিছু সময় এমন বিপদ নেমে আসে যা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারবেনা তার এতটা খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে জামিন চাইতে গিয়ে কারাগারে যেতে হলো মন্ত্রীর জামাইয়ের।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। দীর্ঘ শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট ঝুমুর সরকার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুপুর ২টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল নবীগঞ্জ হাসপাতাল এলাকার মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের মেয়ের স্বামী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের পৌরসভা নির্বাচনের আগের দিন ১৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাবির আহমদ চৌধুরীর লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে শাব্বির আহমেদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই শফিক আহমেদ চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তার অন্ত্র বেরিয়ে আসে। তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ছবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই হাদির মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৩০ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্র আদালতে নেওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। সোমবার মামলার দ্বিতীয় আসামি রাহেল চৌধুরী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
বাদীর আইনজীবী বদরু মিয়া বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের নামে পরোয়ানা জারি করা হয়। সোমবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। যুক্তিতর্কের পর আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২৬৪ ভোটের ব্যবধানে ছাবির আহমদ চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রীর জামাই জানতো না যে জামিন চাইতে গিয়ে তাকে যেতে হবে কারাগারে। তার ভাগ্যে লেখা ছিল এমন একটি খারাপ পরিস্থিতির। তবে অন্যায় যেই করুক না কেনো তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা আর এই বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর।