প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত মন্ত্রিসভার আকার বাড়বে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩৬ সদস্য রয়েছে। এর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন বাড়তে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র ও মন্ত্রিপরিষদ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাজের পরিধি সহজ করার লক্ষ্যে সংরক্ষিত আসনে নারীদের নাম চূড়ান্ত করার পর মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানো হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্ধিত মন্ত্রিসভায় সংরক্ষিত আসন থেকে দু-একজন, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে কয়েকজন এবং শরিক দল ও টেকনোক্র্যাট কোটা থেকে আরও দু’জন আসতে পারেন। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে। সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে, ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে।
এই আলোচনায় অনেকেই এখন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। আর বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন রয়েছেন। তবে এখনও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকা অনেক মন্ত্রণালয়ই শূন্য রয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত দিনের মন্ত্রিপরিষদের দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছে তা বাড়বে। কারণ উল্লেখ করে দলের একাধিক নেতা বলেন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ে অনেক কাজ থাকে। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণে কাজটি সহজ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করাই চ্যালেঞ্জ।
সরকার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। আরও দায়িত্ব দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভায় কবে নতুন মুখ আসতে পারে জানতে চাইলে দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়টি আছে। শিগগিরই তা নিষ্পত্তি করা হবে। তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
এদিকে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে অনেকেই ছুটতে শুরু করেছেন সিনিয়র নেতাদের বাসায় বলে জানা গেছে। গতবারের মতো এবারও শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভার সবাই আওয়ামী লীগের। শারিক দলের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি।
তবে শরিকদের একজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে দলটির একটি সূত্রের দাবি। এটা টেকনোক্র্যাট কোটায় হতে পারে। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সাবেক সচিবদের মধ্যে কয়েকজন যোগ দিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগ দেননি।
এ ছাড়া কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রতিমন্ত্রীর আসন খালি রাখা হয়েছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় এসব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর পদ এখনো শূন্য রয়েছে।
সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শূন্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। যেসব মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আছে সেখানে একজন প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু কোনো প্রতিমন্ত্রী নেই।
গতবারের মতো এবারও মন্ত্রিসভায় অনেক নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য যুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রী চমক ও নতুনত্ব আনবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।