স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় হতে ফাইল গায়েব হওয়ার বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, মন্ত্রনালয় হতে গোপনীয় ফাইল চুরির ঘটনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এই ধরনের কথা বলেন।
ফাইল চুরির বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায কোনোভাবে কাম্য নয়, আমরা ক্ষু’/ব্ধ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে এবং পু’/লি’শ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি ফাইল গায়েব হওয়ার তথ্য জানা যায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থা’/নায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো গায়েব হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা-সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়-সংক্রান্ত নথি। আর এগুলোর বেশির ভাগই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটার সঙ্গে সর্ম্পকিত।
সেইসঙ্গে সেখানে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের নথি রয়েছে।
ঘটনার পর রাজশাহী হতে একজন ঠিকাদারকে আ’টক করেছে সিআইডি’র একটি দল। সেখান থেকে ঐ ব্যাক্তিকে একটি মাইক্রোবাসে করে উঠিয়ে ঢাকার দিকে রওয়ানা দেয় গোয়েন্দা সদস্যরা। সিসইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, এবং সেই তথ্য তদন্তের খাতিরে জানানো সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। তবে তারা ধারনা করছে কোনো কিছু ঢাকতে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।