আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের ৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এতে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তেজগাঁও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রশিদ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশিদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তবে তার এই ঘোষণা মেনে নিতে পারছেন না তার সমর্থকরা।
ছড়িয়ে পড়া পত্রে তিনি লিখিছেন, ‘প্রিয় সরিষাবাড়ীবাসী আসসালামু আলাইকুম। আমার মনোনয়নের জন্য বারবার অসংখ্য নেতাকর্মী বাধভাঙা জোয়ারের মতো সমর্থন দিয়েছেন। আমাদের পরিবারের সদস্যরা সারাজীবন মনে রাখবে। আপনাদের যে ক্ষতি করলাম ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে মাফ করে দেবেন। একবার নয় বারবার এরকম সমর্থন অনেকেই পান নাই। আপনাদের কষ্ট হচ্ছে জেনেই দুই কলম লিখছি। ইচ্ছে ছিল দূর্নীতি ছাড়া এলাকার উন্নয়ন করবো। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যক্তি যতটুকু ক্ষমতা ও সামর্থ্য ছিলো তা সরিষাবাড়ীবাসীদের জন্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মহান রাব্বুল আলামিন যা যার জন্য প্রয়োজন তাই করে থাকেন। আমাদের নেত্রী দেশের জন্য অনেক করেছেন। সামনে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
জামালপুর-৪ আসনের জন্য যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাকে স্বাগত জানাই। আমার বয়স হয়েছে। ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আরেক ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। রাজনৈতিক পরিপারের তারা রাজনীতি করবে। ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন। আমি আপনাদের কত বিপদে ফেললাম সে জন্য আবারও ক্ষমাপ্রার্থী। সর্বশেষ ৫০ হাজার মানুষ আপনারা আমার জন্য একত্রিত করেছিলেন। আমি বারবার আপনাদের বিমুখ করেছি এবং করলাম। তাই নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অবসর নিলাম। তবে পারিবারিক রাজনীতি অব্যাহত থাকবে। মাননীয় নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ রইলো।’
এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক আবদুর রশীদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে কেটে দেন।