দীর্ঘ দিন ধরে দেশের রাজনীতিতে যে ভাবে অপসংস্কৃতি গড়ে তুলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কারণে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে অনেকে বিষয় রাগ হওয়ার শর্তেও শান্ত থাকতে হয়। দেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া জন্যই কাজে করে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাক ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো্
আমি ইনবক্সের মেসেজ পড়ি। উত্তর দেই। ইনবক্সে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই, আইডিয়া পাই। আমার আলাদা করে খুজতে হয়না। কিন্তু আমাকে মেহেরবানী করে ইংরেজি ফন্টে বাংলা লেখা পাঠাবেন না। প্রথম কারণ আমি ইংরেজি ফন্টে বাংলা লেখা পড়তে পারিনা। এটা অদ্ভুত অক্ষমতা, আমার আশেপাশে সবাই পড়তে পারে আর আমি পড়তে পারিনা। এতে আমার রাগ উঠতে থাকে। যে মেসেজ পাঠিয়েছে তার উপরে না আমার নিজের উপরেই। এই রাগ নামতে সময় লাগে।
দুই নাম্বার আমার ওয়াটস এপ নাম্বার অনেকের কাছে আছে। হয়তো একজনের কাছে থেকে আরেকজনের কাছে গেছে। আমি নিজেও দেই আমার নাম্বার। মেসেজও পাঠান অনেকে। আমি সেটাও পড়ি। সাধ্যমতো উত্তর দেই। কিন্তু দেখেন, আপনি আমাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, অথচ আপনার নাম বলছেন না পরিচয় দিচ্ছেন না। নাম পরিচয় জানতে চাইলে হয় চুপ করে থাকছেন বা হেয়ালি করছেন।
যেমন ধরেন:
মেসেজ: পিনাকী দাদা, কেমন আছেন? আপনি পিনাকী দাদাই তো?
আমি: জ্বি ভাই ভালো, হ্যা আমি পিনাকী। আপনি কেমন আছেন? কে বলছেন? আপনার পরিচয়টা দিন।
মেসেজ: কেন পরিচয় দিলে আপনার কথা বলতে সুবিধা হয়?
আমি: সুবিধা অসুবিধা না, আপনি আমার পরিচয়টা জানলেন। আপনার পরিচয়টা জানাবেন না?
মেসেজ: মনে করেন আমি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী।
এই ধরনের কাজ আমার সাথে জন্য না। কারো সাথেই কইরেন না। নিজের পরিচয় দেন। বলার কথাটা খুব সংক্ষেপে বলুন, খুবই সংক্ষেপে। লিখে মনের ভাব প্রকাশ অনেকটা নারীদের বিকিনির মতো সংক্ষিপ্ত, কিন্তু আগ্রহ উদ্দিপক। মাথায় এই কথাটা রাখবেন। লেখালেখি ক্রিয়েটিভ হবে।