Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Entertainment / মনক্ষুন্নতা নিয়ে দেশ ছাড়লেন মারুফ, কারন জানালেন নিজেই

মনক্ষুন্নতা নিয়ে দেশ ছাড়লেন মারুফ, কারন জানালেন নিজেই

কাজী মারুফ বাংলাদেশের ( Bangladesh ) শোবিজ প্রাঙ্গনের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি তারকার নাম। তবে এফডিসিতে চলে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। এফডিসিতে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত এবং সাভার-গাজীপুরের ( Savar-Gazipur ) ছুটে বেরিয়েছেন শুটিংয়ের ব্যাস্ততাকে সঙ্গি করে। সেই মারুফ আজ শুটিং করছেন না। স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। তবে মারুফ ইন্ডাস্ট্রিতে না থাকলেও তার প্রতি ভক্তদের আগ্রহ কমেনি এক ফোটাও। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে কী করছেন তা নিয়ে ভক্তদের নানান কৌতূহলী প্রশ্নের জবাব দিলেন এই জনপ্রিয় তারকা

কাজী মারুফ এবার কালে ভাদ্রে দেশে এলেন। তবে এফডিসিতে চলে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। এফডিসিতে  সাভার-গাজীপুরের ( Savar-Gazipur ) ফ্লোর ও শুটিংয়ে ঘুরেছেন। সেই মারুফ আজ শুটিং করছেন না। স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। তবে মারুফ ইন্ডাস্ট্রিতে না থাকলেও তার প্রতি ভক্তদের আগ্রহ একটুও কমেনি। সম্প্রতি এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নায়ক যখন তার ইউ”টিউব চ্যানেল ফিল্ম ফ্যাক্টরি  ইন নিউইয়র্ক ( New York ) থেকে লাইভে আসেন, তখন সাড়ে তিন হাজার ভক্ত জানতে চান তিনি কেমন আছেন। তাদের প্রশ্নের জবাবে কাজী মারুফ শুধু বলেন, ভালো আছি।

স্টারডম নিয়ে দেশ ছাড়লেন কাজী মারুফ কেন? এই প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই তাড়িত হয়েছে। সোমবার ( Monday ) ৩৮ মিনিটের ওই লাইভ সম্প্রচারে কাজী মারুফ তার দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কারণ জানান। মারুফ বলেন, বাংলাদেশে কোনো সিনেমা ছিল না। খুব একটা কাজ ছিল না। তবে কিছু খেতে হবে। তা ছাড়া আমাদের “শ্রেডেড” সিনেমাটি ১৪ ফেব্রুয়ারি (২০১৬) মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। এভাবেই টার্গেট করলাম। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তি দেয়নি কোনো বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। পরিচালক ছিলেন আমার বাবা। তারা আমার বাবাকে বলেছিল যে আমরা মুক্তি না পেলে কিভাবে মুক্তি দেবে। আমার বাবার মতো লোকদের এই কথা শুনতে হয়েছে। বাবা সেদিন বাসায় এসে বললেন, এই বয়সে আমি সংঘাত করব? আমি চাই না তুমি তাদের সাথে সংঘাত কর। আমেরিকা ( America ) যাও। এসব কারণে আমি বাংলাদেশ ছেড়েছি।

শুধু কাজের অভাবে আর চলচ্চিত্রের রাজনীতির কারণে মারুফ যে দেশ ছাড়ছেন তা নয়। পারিবারিক কারণে তিনিও চলে যান। মারুফ বলেন, একবার আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আমার মেয়েকে স্যালাইন সিরিঞ্জ দিয়ে এমনভাবে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছিল যে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। সেই দৃশ্য দেখে আমি চুপ হয়ে গেলাম। তারপর চোখ বন্ধ করলাম। একই দিনে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মারুফ তার স্ত্রী রাইসা ( Raisa ) ও মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন; সেখানে ব্যবসা করছেন। এছাড়া ‘গ্রিন কার্ড’ নামে একটি সিনেমাও করেছেন তিনি। শীঘ্রই মুক্তি দেবে।

তিনি দুঃখ নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলেও দেশের জন্য, বিশেষ করে তার বাবা-মায়ের জন্য তার খারাপ লেগেছে বলে জানান মারুফ। কয়েক মাস আগে কাজী হায়াত ( Kazi Hayat ) অসুস্থ হয়ে পড়লে দেশে আসেন মারুফ। মারুফ তার বাবার চলচ্চিত্র ইতিহাসে অভিনয়ের জন্য ২০০২ সালে ( ) শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরে তিনি অন্ধকার ক্যাপ্টেন মারুফ ( Captain Maruf ), রাস্তার ছেলে, দেহরক্ষী সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন।

উল্লেখ্য, ‘ইতিহাস’ খ্যাত নায়ক কাজী মারুফ এখন স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কালে ভদ্রে এলেন দেশে। মারুফ ইন্ডাস্ট্রিতে না থাকলেও তার প্রতি ভক্তদের আগ্রহ একটুও কমেনি। সম্প্রতি এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) জনপ্রিয়তার শীর্ষ থাকা মারুফ যখন তার ইউ”টিউব চ্যানেল ফিল্ম ফ্যাক্টরি ইন নিউইয়র্ক ( New York )থেকে লাইভে আসেন, তখন সাড়ে তিন হাজার ভক্ত জানতে চেয়েছিলেন তিনি কেমন আছেন। তাদের প্রশ্নের জবাবে কাজী মারুফ শুধু বলেন, ভালো আছি।

 

 

About Syful Islam

Check Also

আপত্তিকর সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন তিশা (ভিডিও)

সম্প্রতি ঢাকার দোহার উপজেলার এক জমিদার বাড়িতে নাটকের শুটিং চলাকালীন ঘটে বিব্রতকর একটি ঘটনা। ‘প্রেমিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *