এক গৃহবধূর সাথে খারাপ কাজ করতে গিয়ে মধ্য রাতে এলাকাবাসীর হাতে ধরা খেলেন একজন পুলিশকর্মী। পরবর্তীতে ঐ পুলিশকর্মীকে তারা থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূ এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহন করছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে ওই ৩৫ বছর বয়সী পুলিশ সদস্যের নাম শেখ রেজওয়ান আহম্মেদ।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ওই গৃহবধূর বাড়িতেই স্থানীয় জনতা শেখ রেজওয়ানকে প্রথম আটক করেন।
আটক পুলিশ সদস্য নীলফামারী জেলা সদরের শহিদুর রহমানের ছেলে। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা থানায় কর্মরত।
এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার গরুহাটি ডাঙ্গা এলাকায় এক গৃহবধূর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেলে ওই পুলিশ সদস্যকে প্র”ত্যাহার করে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগী পরকীয়া প্রেমিকা গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে গরুহাটি থানার ডাঙ্গা এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে পুলিশ সদস্য রেজওয়ানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জনতা তাকে আটক করে।
বোদা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাওসার আলম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, ওই গৃহবধূর সঙ্গে শেখ রেজওয়ানের কিছুদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয়রা টের পেয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ সদস্য রেজওয়ানকে বোদা থানায় সোপর্দ করা হয়।
সুজয় কুমার রায় যিনি বোদা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ঐ পুলিশ কনস্টেবল রেজওয়ানকে এই ঘটনার পর সেখানকার এলাকাবাসী পুলিশের নিকট তাকে সোপর্দ করেছেন, তবে যতটুকু বলা যায়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হতে পারে। তবে এই মুহুর্তে তাকে প্রত্যাহার করে পঞ্চগড় পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। এখনও কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।