মাদকের বিরুদ্ধে সরকার কঠিন অবস্থানে থাকলেও এই মাদকের সরবারহ কোন না কোনভাবে হয়ে চলেছে বিশেষ করে এই মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে এই মাদক সরবারহ করতে।রাজধানীর মুগদা থানাধীন টিটিপাড়া রাস্তা থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও ১২৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সার্জেন্ট খন্দকার মহিউদ্দিন ফারুক। বুধবার দিবাগত রাতে সার্জেন্ট খন্দকার মহিউদ্দিন ফারুক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিপুল পরিমাণ এই মাদকদ্রব্য জব্দ করেন। আটক দুই নারী মাদকব্যবসায়ী হলেন- মোসা. মরিয়ম বেগম সেলিনা ওরফে সেলি (৪২) এবং মোছা. আছিয়া বেগম আসমা (৪০)।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সার্জেন্ট খন্দকার মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, হঠাৎ করে চোখে পড়ে স্টারলাইন বাস কাউন্টারের সামনে ভুল জায়গায় পার্কিং করে আছে একটি সিএনজি অটোরিকশা (ঢাকা-দ-১৪-০০২৯)। রাস্তা ফাঁকা করতে সিএনজি অটোরিকশার কাছে গেলে দেখতে পাই দুইজন নারী একটি লাগেজ ও কয়েকটি ব্যাগসহ সেখানে অপেক্ষমান।
অটোরিকশায় গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ভাড়া নিয়ে দরকষাকষি করছেন তারা। হঠাৎ দুই নারী এত সংখ্যক ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাই। তখন ওই নারী জানান, তাদের এক বোন সৌদি আরব যাবেন। ওই বোনের কাছে চালের গুঁড়া পৌঁছে দেবেন তারা। এসব ব্যাগে চালের গুঁড়া রয়েছে। সবগুলো ব্যাগে চালের গুঁড়ার কথা শুনে সন্দেহ হয় পুলিশের। যেকোনো একটি ব্যাগ খুলতে অনুরোধ করি। খোলার পরপরই দেখতে পাই, হলুদ স্কচটেপে মোড়ানো গাঁজার বড় বড় পুটলি।
এদিকে মধ্যরাতে চালের গুঁড়ার চালান বলে মাদকের অভিনব পাচার দেখে চমকে উঠেন সার্জেন্ট খন্দকার মহিউদ্দিন ফারুক । তাদের নেওয়া হয় পুলিশ বক্সে। রাতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। মুগদা থানা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়।
সার্জেন্ট খন্দকার মহিউদ্দিন ফারুক জানান, গাঁজা ও ফেনসিডিল জব্দ করার পাশাপাশি দুই নারীকে আটক করে মুগদা থানায় হস্তান্তর করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, জব্দকৃত গাঁজার মূল্য ৪ লাখ টাকা এবং ফেনসিডিলেন মূল্য ২ লাখ ৫৪ হজাজার টাকা। এ ব্যাপারে মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে মাদকের চোরাচালান ধরা পড়ছে পুলিশের হাতে এবং সেগুলো জব্দ এবং পরবর্তিতে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তাতেও থেমে নেই এই মাদক ব্যবসায়ীরা।কোন কোনভাবে তারা তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে আপন মনে