সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রায় একটি সংবাদ দেখা যায়, আর সেটা হলো স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর বিশেষ অংগ কর্তন। এটা একটি বড় ধরনের খারাপ সামাজিক অবক্ষয়ের মানসিকতা হিসেবে দেখছেন সমাজ বিশ্লেষকেরা। এবার ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার একটি এলাকায় স্বামীর বিশেষজ্ঞ কর্তনের ঘটনা ঘটলো। যার কারণে ওই নারীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে আহ”ত স্বামীকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাত ১০টার দিকে মধুখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গাড়াখোলা মহল্লায় ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ঐ নারী।
শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনায় আহ”ত রাসেলের ছোট ভাই তোফাজ্জল বিশ্বাস তোতা (৪০) জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর তিনি তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান এবং গিয়ে দেখেন তার ভাইয়ের বিশেষ অংগের স্থান থেকে রক্ত পড়ছে। পরে তারা স্থানীয় সদস্যকে বিষয়টি জানায়।
মধুখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান লিটন জানান, খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহ”ত রাসেলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে টুটু খাতুন স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কে”টে ফেলার কথা স্বীকার করে এবং ভুল করেছে বলে ক্ষমা চান। উনাকে পরে পুলিশ এর দ্বারা গ্রেফতার করানো হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাসেলের বিশেষ অঙ্গের দুই-তৃতীয়াংশ কেটে গেছে। তার অবস্থা খুব খারাপ। মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় বালা জানান, পুলিশ গভীর রাতে রাসেলকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তার স্ত্রী টুটু খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনার পর ওই এলাকায় বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে পারিবারিক ছোটখাটো ঝামেলার কারণে এই ধরনের কান্ড ঘটানো কোন নারীর থেকে কাম্য নয় এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন। তবে তার অঙ্গটি আদৌ ভালো হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা।