সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট দেয়ার অভিযোগ উঠে রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের নেত্রী সোনিয়া আক্তার ওরফে স্মৃতির বিরুদ্ধে। এরপর হঠাৎই মধ্যে রাতে বাসায় হাজির হয় পুলিশ। এ সময়ে দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে হাত জোর করলেও পুলিশর হাত থেকে রক্ষা পাননি তিনি।
পরে অভিযোগটি ৫ অক্টোবর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয় এবং ওই দিনই সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গত ২৬ অক্টোবর রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোনিয়া জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন। এরপর ৩০ অক্টোবর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই মামলায় আজ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন সোনিয়া।
সোনিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের ফলে এ মামলায় সোনিয়ার কারামুক্তিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। তিনি বলেন, এ মামলায় গত ৫ অক্টোবর সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন রাজবাড়ী কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। মধ্যরাতে দুই সন্তানের সামনে স্মৃতিকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নজিরবিহীন বলেও দাবি করেন তারা।