ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পুকুর থেকে ৪ মাস বয়সী এক শি/শুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছে নবীনগর থানার পুলিশ।
সন্দেহভাজন হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, পুলিশ দাবি করেছে যে শি/শুটির মা নিজেই শুক্রবার মধ্যরাতে ‘শ্বশুরবাড়ির অশান্তিতর করনে সন্তানকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। শিশুটির বাবা দুবাই প্রবাসী।
রোববার দুপুরে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, “মৃতদেহ উদ্ধারের পর শি/শুটির মাকে সন্দেহ হয়, তাই আমরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই নারী তাকে হ/ত্যার কথা স্বীকার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “মৃতদেহ উদ্ধারের পর শি/শুটির মা পুলিশকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি আমার দুই সন্তানের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলাম। রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাই। তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি। ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের দরজা খোলা; আমার পাশে ঘুমিয়ে থাকা আমার ছোটো মেয়ে নেই। আমি জানি না সে কিভাবে পুকুরে গেল।”
পুলিশ বলছে, তার বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট’।
সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানিয়েছেন, তার স্বামী সর্বশেষ দেড় বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই গিয়েছিলেন। তাদের দুই মেয়ে আছে। বড় মেয়ের বয়স ৬ বছর আর ছোট মেয়ের বয়স ৪ মাস।
পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীর যৌথ পরিবারে শাশুড়ি ও ননদদের অনেক কথা শুনতে হয়। তাই তিনি শিশুদের সঠিক যত্ন নিতে পারেননি। এসব কারণে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তিনি নিজেই শি/শুটিকে ফেলে দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল আরও বলেন, ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী। এ জন্য তাকে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, এর পেছনে অন্য কিছু থাকলে আশা করি তদন্তে বেরিয়ে আসবে, বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম।